।। প্রথম কলকাতা ।।
Nachiketa Chakraborty: তিনি ‘আগুনপাখি’। তিনি নচিকেতা চক্রবর্তী। ৩০ বছর ধরে আগুন-গানে মাতিয়ে রেখেছেন দর্শকদের ।তাঁর গান শুনে লাল ফিতে সাদা মোজার নীলাঞ্জনারা অনুভব করেছে প্রথম ভাললাগার অনুভূতি। তাঁর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শুনে চোখ ভিজেছে বৃদ্ধের। তাঁকে নিয়ে রটনাও কম হয়নি। কিন্তু তিনি অপ্রতিরোধ্য। অথচ তাঁকে নিয়েই বেশ কিছু বছর ধরেই রটনা তাঁর নাকি ক্যানসার হয়েছে। কন্ঠে প্রভাব পড়েছে ক্যানসারের। সত্যি কি তাই? কি বলছেন তিনি?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেন, “দাপিয়ে শো করছি। তার মধ্যে কারা রটিয়ে বেড়িয়েছে আমার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কোন কিছু হয়নি আমার। বলে বলে অসুস্থ করে দেবেন না”। ক্যান্সার তত্ত্ব খারিজ করেছেন গায়ক। তাঁর পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী। মেয়ে ধানসিঁড়িও অনুসরণ করেছেন বাবার পথ। মঞ্চে গান গাইছেন তিনিও। শুধু বাংলা নয়, ইংরেজি গানের প্রতিও ঝোঁক রয়েছে তাঁর। একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তাঁর গান। জোর গলায় তিনি গেয়ে উঠেছিলেন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও। তবে আজ তিনিও রাজনীতির অংশ। আজও কি অন্যায় দেখলে সেই গান তিনি গেয়ে উঠবেন? তাঁর গান শুনলে আজও উত্তেজনা ফুটতে থাকেন আপামর বাংলা সংগীতপ্রেমীরা। চাঁচা-ছোলা ভাষায় গান বেঁধে বরাবরই সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে নচিকেতাকে।
এইভাবেই গানে গানে এই সংগীত জগতে ৩০ বছর পার করে ফেলেছেন নচিকেতা। তাঁকে নিয়ে আরও একবার চিরাচরিত পাগলামিতে মেতে উঠেছিলেন শহরবাসী। তাই তাঁকে ট্রিবিউট জানাতে রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর একক অনুষ্ঠান ‘তিন দশকে নচিকেতা’।নিমেষে শেষ হয়েছিল সব টিকিট। তিন দশকের সুরেলা সফর পেরিয়ে এসে ওই সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেছেন ‘আমি ম্যাজিক জানি না। স্রেফ সৎভাবে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। সবটাই ঈশ্বরের আর্শীবাদ। নচিকেতা হওয়া যায় না, নচিকেতার জন্ম হয়’। গায়কের কথায়, ‘অস্থির সময়ের প্রোডাক্ট আমি। ওই সময়টা যদি না তৈরি হয়, তাহলে নচিকেতা হওয়া অসম্ভব। আগামী ৫০ বছরেও আরেকটা নচিকেতা আসবে না, এইটুকু বলতে পারি’।
এরপরেই তাঁর ক্যান্সার নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই নচিকেতার বার্তা ‘হৃদয়ে রাখিস, আমার কোনও লোভ নেই রে পাগলা’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম