Sourav Ganguly on Virat Kohli captaincy: কোহলিকে আমি অধিনায়ক থেকে আমি সরায়নি, তাহলে সরাল কে? সমালোচনার জবাব দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sourav Ganguly on Virat Kohli captaincy: কোহলির সঙ্গে সৌরভের দ্বন্দ্ব কারোর কাছে অজানা নয়। একটা সময় শোনা গিয়েছিল বিরাটকে অধিনায়ক থেকে সরোনার পিছনে নাকি সৌরভের হাত ছিল। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলাও হয়েছিল। একে অফ ফর্ম তো আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়কত্বে ভারতের বিপর্যয়। আর সব মিলিয়ে সেই সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না বিরাটের। ফলে সমালোচনা একেবারে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বিরাট ভক্তরা এই ঘটনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিসিসিআই-র উপর ক্ষোভ উগড়ে দেয়। অনেকে তো আবার এই ঘটনার জন্য তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকেও দায়ী করেন। এবার যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন মহারাজ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর পিছনে তাঁর কোন হাত নেই।

সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। দাদাগিরির একটি এপিসোডে সৌরভের সামনে একটি ভিডিও চালানো হয়, সেই ভিডিওতে বলা হয় যে অধিনায়ক বিরাটকে আবার ব্যাটার বিরাট বানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভিডিওটিতে আরও বলা হয় রোহিতকে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ভিডিও শেষ হওয়ার পর মহারাজ বলেন, পুরোটা ঠিক নয়। বিরাট কোহলিকে অধিনায়ক থেকে আমি সরায়নি। এইকথা আমি আগেও অনেক জায়গায় বলেছি। বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি করতে চায়নি। সেই সময় আমি বলেছিলাম তুমি যখন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন্সি করবে না, তাহলে হোয়াইট বলটাই ছেড়ে দাও। একজন হোয়াইট বলে করুক আর একজন রেড বলে ক্যাপ্টেন হোক।

যদিও এরপর টেস্টের ক্যাপ্টেন্সিও ছেড়ে দেয় বিরাট কোহলি। বিরাট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড ওঠে রোহিত শর্মার হাতে। রোহিতের অধিনায়ক হওয়ার প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, রোহিত শর্মাকে ক্যাপ্টেন করার পিছনে পুশ কিছুটা ছিলা। কারণ তিনটি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী ছিল না রোহিত। ফলে রোহিতকে ক্যাপ্টেন করার পিছনে আমার অল্প হলেও অবদান রয়েছে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন যে যতই প্রশাসক হোক। মাঠে একমাত্র ভালো খেলে খেলোয়াড়রাই। একেবারে শেষে তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য বিসিসিআই-এর সভাপতি করা হয়েছিল আমাকে। আর আমি সেটাই করেছি। সৌরভের এই মন্তব্যের পরে অনেকেই মনে করেছেন যে তিনি নিজেও যে এই বিতর্কের আগুন প্রশমিত করতে চান, সেই ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই।

Exit mobile version