ফিটনেসে বিরাটকে দশ গোল দেবেন তাঁর শ্বশুর! অনুষ্কার বাবা কে জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

এখন ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাট থেকে আসছে একের পর এক সেঞ্চুরি। অনুষ্কাকে দর্শক আসনে বসিয়ে গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড।আপনি বলবেন, শুধু ব্যাটিং নয়, ফিটনেসেও লা জবাব অনুষ্কার স্বামী। ঠিক তাই। সে জন্যও তিনি সব সময় চর্চায় থাকেন। কিন্তু জানেন কি, ফিটনেসে তাঁকে বলে বলে দশ গোল দিতে পারেন নিজের শ্বশুর! জানেন, জামাইকে কুপোকাত করতে একাই একশো তিনি। শুধুই মুখের কথা নয়, বার বার তিনি তার প্রমাণও দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনিতো দেখেছেন, এখন অনেক প্রবীণই মনের দিক দিয়ে ইয়ং, শরীরের দিক থেকেও তাই। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক বা জিম করে তরতাজা থাকেন তাঁরা। এখনকার মেয়ের বাবাদের কাছে বয়সটা কোনও ফ্যাক্টরই নয়। জামাইয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক তাঁদের। একটু চেষ্টা করলেই আপনিও নিজেকে বিরাটের শ্বশুরের মতো ইয়ং অ্যান্ড হ্যান্ডসাম করে তুলতেই পারেন।আপনি কি চেনেন অনুষ্কার বাবাকে? চলুন বিরাটের শ্বশুরের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই।

ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিরাট কোহলি। ২০২৩ বিশ্বকাপের হাত ধরে ফের একবার শিরোনামে উঠে এসেছে বিরাটের নাম। শচীন তেন্ডুলকারের সামনেই ভেঙেছেন মাস্টার ব্লাস্টারের ওয়ান ডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড। অসাধারণ একের পর এক ইনিংস খেলে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন বিরাট। অনুষ্কা শর্মা গ্যালারিতে থাকলে বিরাট নাকি খেলতে পারেন না। এই কথাটিকে একেবারে মিথ্যা প্রমাণিত করে অনুষ্কার সামনেই নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। একে অপরকে উড়ন্ত চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছিলেন দম্পতি।বিরাট কোহলি এই টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে তিনি ৭৬৫ রান করেছেন। বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনও ব্যাটসম্যান ৭০০ রান পেরিয়েছেন। ফিটনেসের দিক থেকে তিনি অনায়াসে পেছনে ফেলে দিতে পারেন যে কোন ক্রিকেটারকে।

আপনি কি জানেন, ফিটনেসের দিক থেকে জামাইয়ের থেকে কিছু মাত্র কম যান না বিরাট কোহলির শ্বশুর মশাই। হ্যাঁ, অনুষ্কার বাবা অজয় কুমার শর্মার কথা বলছি।চলুন তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জেনে নেওয়া যাক।২০১৭ সালে অনুষ্কা শর্মাকে বিয়ে করেন বিরাট কোহলি।অনুষ্কার বাবা অজয় কুমার ছিলেন ভারতীয় সেনার কর্নেল পদে কর্মরত। সেনা বাহিনীতে যোগদান করার আগে পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকতেন দেরাদুনের নাইসভিলা রোডে। বাবা সেনায় যুক্ত থাকার কারণে অনুষ্কা চিরকাল আর্মি স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি তার বন্ধুদের সবসময় বাবার কথা বলতেন। কার্গিল যুদ্ধে বাবা লড়েছেন, এ কথা বলতে গর্ববোধ করতেন তিনি।

১৯৮২ সাল থেকে দেশে ঘটে যাওয়া সমস্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তার বাবা। অনুষ্কার যখন ১১ বছর বয়স, তখন তার বাবা জম্মু এবং কাশ্মীরের কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। অভিনেত্রী আরো জানান, সেই সময় যুদ্ধ কি জিনিস তা বোঝেন নি তিনি।তাই হয়তো যখনই বাবা ফোন করতেন তখন তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং স্কুল নিয়েই কথা বলতেন। নিজের প্রেমিকের সম্পর্কে কথা বলতেন বাবার সঙ্গে। আর উল্টোদিকে বাবাও হাসিমুখে উত্তর দিতেন। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবেশ সম্পর্কে কোন কথাই জিজ্ঞাসা করতেন না অনুষ্কা। কিন্তু এখন বাবাকে নিয়ে ভীষণ গর্ববোধ করেন বিরাট ঘরনী। একজন ক্রিকেটারের স্ত্রী হওয়ার থেকে একজন সেনা নায়কের সন্তান হওয়া তার কাছে অনেক গর্বের। বিয়ের পর শুধু অনুষ্কা নয়, বিরাটের সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক রিটায়ার্ড কর্নেল অজয় কুমার শর্মার।

ফিটনেসের দিক থেকেও কিন্তু জামাইকে ১০ গোল অনায়াসে দিতে পারেন শ্বশুর মশাই। তার বেশ কিছু নমুনা ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়।এসব ছবিতে অনুষ্কার বাবাকে এখনও বেশ ফিট দেখাচ্ছে। এই দেখুন বয়স উপেক্ষা করে সহজেই গাছে উঠে গেছেন তিনি। জামাই বিরাট কোহলিকে ফিটনেসের ক্ষেত্রে কতটা টেক্কা দিচ্ছেন অজয় কুমার শর্মা তা দেখুন এই ছবিতে।হ বে নাই বা কেন! প্রাক্তণ সেনা বলে কথা। তাই না!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version