Hiralal Sen: হীরালালের স্মৃতিচিহ্ন বলতে মন্দির! করা হোক সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়, দাবি এলাকাবাসীর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Hiralal Sen: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতা হীরারাল সেন। ১৮৬৬ সালে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় আসার আগে তাঁর ছোটবেলা কেটেছে এই মানিকগঞ্জেই। ‘দ্য ডেইলি স্টার’ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশভাগের পর ভারতে চলে যায় হীরালাল সেনের পরিবার। আর তারপর থেকে এই পরিবারের প্রায় ৪০ বিঘা জমির ভোগ দখল করছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রয়াত কর্মচারী আব্দুল হালিমের পরিবার। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণর অভাবে হীরালাল সেনের বসত-ভিটের অস্তিত্ব আর নেই।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রথম ছবি মুক্তি পায় বিশ শতকের শুরুতে। জানা যায়, তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলি মানিকগঞ্জের পৈতৃক বাড়িতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। তাঁর পিতা চন্দ্রমোহন সেন ছিলেন একজন সফল আইনজীবী। মানিকগঞ্জে ছিল তাঁদের পৈত্রিক জমিদারি। তাঁরা কলকাতা পাড়ি দিলে আব্দুল হালিম তাঁদের জমির ভোগ দখল শুরু করে। পাশাপাশি ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, ১৮৯৮ এবং ১৯০৫-এর মধ্যে তাঁরা কলকাতায় যান। ব্রিটিশ আমলের যে নকশা, সেখানে তাঁদের জায়গা-জমির উল্লেখ আছে এবং দেশের নকশাতে তার আংশিক উল্লেখ আছে। মোট জায়গা ৪০ বিঘা।

বাংলাদেশে তাঁর যে পৈত্রিক জমি ছিল সেখানে কিছুটা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্কুল। যেখানে স্কুলের ভবনের নাম রাখা হয়েছে হীরালাল সেন ভবন। ‘দ্য ডেইলি স্টার’ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। যেখানে একজন ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, প্রত্যাশা আছে এই ভিটেতে হীরালাল সেন ও আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের নামে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়, নাট্যচর্চা এবং চলচ্চিত্র চর্চার একটি জায়গা করা হবে। বর্তমানে ‘বকজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ যেখানে রয়েছে, সেটি হীরালালের পৈত্রিক জমি।

স্থানীয়দের কথায়, যেখানে বিদ্যালয়টি রয়েছে সেখানেই ছিল চলচ্চিত্র নির্মাতার পৈত্রিক বাড়ি। এখন শুধু তাঁর স্মৃতিচিহ্ন বলতে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত মন্দির। যে মানুষটি নিজের গোটা জীবনটা ব্যয় করেছে চলচ্চিত্র জগতের কল্যাণে, সেখানে তাঁর জমিতে সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি মানিকগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীদের। প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন কচি জানিয়েছেন, ‘আমরা তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে একটা সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। যেখানে সমস্ত সাংস্কৃতিক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হবে’। হীরালালের স্মৃতি ধরে রাখতে মরিয়া এলাকার বাসিন্দারা।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version