Udit Narayan’s Birthday: ১০০ টাকায় নৈশক্লাবে গেয়েছেন একসময়! জন্মদিনে ফিরে দেখা উদিত নারায়ণকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Udit Narayan’s Birthday: এখন তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে বিশাল পরিচিত। কিন্তু একসময় তাঁর নাম সকলের কাছেই অজানা ছিল। আজ তাঁর কন্ঠের জাদুতে মুর্ছা যায় বহু সঙ্গীতপ্রেমী। ১৯৫৫ সালের আজকের দিনে বিহারে জন্ম হয় ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় গায়ক উদিত নারায়ণের। পুরো নাম উদিত নারায়ণ ঝা।

প্রতিবেশীর বাড়ি রেডিওর গান শুনে সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা তাঁর। ১০০ টাকায় সারা সন্ধ্যে নৈশক্লাবে গেয়েছেন একসময়। ৮০-৯০-এর দশকে বলিউডের সঙ্গীত জগতে রাজ করেছেন এই ব্যক্তি। হিন্দি ঠিকমত বলতে না পারলেও, একের পর এক গেয়েছেন জনপ্রিয় হিন্দি গান। আজ তাঁরই জন্মদিন। বাবা হরেকৃষ্ণ ঝা ছিলেন কৃষক, মা ভুবনেশ্বরী ঝা লোকগান গাইতেন। বলা যায়, মায়ের থেকে গানে প্রথম শিক্ষা গায়কের। অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, দেব আনন্দ সহ তিন খানের কন্ঠে শোভা পেতো তাঁরই গলা। ২০০৯-তে পদ্মশ্রী, ২০১৬-তে পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। ৩ টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৫ টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

নেপালি ছবি ‘সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন গায়ক। তাঁর কেরিয়ারে মোর ঘুরিয়ে দিয়েছিল একটি ভোজপুরী গান। এরপর ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ ছবিতে ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ গান গাওয়ার সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন উদিত নারায়ণ। নতুন নতুন তারকাদের ভিড়ের মাঝেও তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তবে প্রায় ১০ বছর জীবনে সংগ্রাম করেছেন। সংসার চালাতে হোটেলে গান গাওয়ার পাশাপাশি আরও নানা কাজ করে গিয়েছেন। আর আজ সেই কঠোর পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন। ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’-এ গাওয়ার পর একে পর এক ছবিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন। যদিও এরপর শোনা যায়, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে গান গাওয়ার পর তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে থাকে। আর এরই মাঝে আসতে থাকে হুমকির ফোন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তাঁর মধ্যে আতঙ্ক কাজ করতো। তাতেই মূলত অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চর্চায় এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন রঞ্জনা নারায়ণ ঝাকে। তারপর বিয়ে করেন দীপা নারায়ণকে। প্রথম বিয়ে অস্বীকার করলে কোর্টের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গায়ক। তবে শেষে সবকিছু স্বীকার করে নিতে হয়েছে। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে নাম রয়েছে ‘টিপ টিপ বরষা পানি’, ‘ম্যায় ইয়াহা হু’ (বীর জারা), ‘হামকো হামিসে চুরালো’ (মহব্বতে), ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘বৈরি পিয়া’র। এছাড়া আরও এমন অনেক জনপ্রিয় গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। আজ তাঁকে চিনতে আলাদা করে কোনও নামের প্রয়োজন হয় না। জন্মদিনের শুভেচ্ছা গায়ককে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version