Dilip Kumar: হিন্দি চলচ্চিত্রের সর্বকালের গুণী অভিনেতা তিনি, শুভ জন্মদিন দিলীপ কুমার

।। প্রথম কলকাতা।।

Dilip Kumar: বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কিং’ হিসেবে সুপরিচিত তিনি। একসময় বহু ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সায়রা বানুর সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক সুপারহিট ছবি করে গিয়েছেন। ১৯২২-এর আজকের দিনে জন্ম হয় দিলীপ কুমারের। পাকিস্তানের খাইবারে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের মতে, সর্বশেষ তিনিই ছিলেন রচনাশৈলী একজন গুণী অভিনেতা।

বাবা লালা গোলাম সারোয়ার একজন ফলের ব্যবসায়ী ছিলেন। পেশোয়ার ও দেওলালীর মধ্যে ফলের বাগানের মালিক ছিলেন তিনি, মাতা আয়েশা বেগম।নাসিকের কাছাকাছি একটি স্কুল থেকে নিজের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৩০-এ ১২ সদস্যের পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন। অভিনয় জগতে পা রাখার আগে এমন অনেক কাজ করেছেন অভিনেতা, যা ভাবা যায় না। একজন ক্যান্টিন মালিক এবং একজন ফল সরবরাহকারী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। পরে ১৯৪৪-এ ‘বোম্বে টকিজ’-এর ব্যানারে ‘জোয়ার ভাটা’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি।

তাঁর প্রকৃত নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান হলেও, হিন্দি লেখক ভগবতি চরণ বর্মা তাঁকে স্ক্রিননেম দিলীপ কুমার দেন। একসঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারতেন অভিনেতা। ১৯৪৭-এ ‘নুর জাহান’-এর বিপরীতে ‘জঙ্গু’ তাঁর প্রথম সফল চলচ্চিত্র। সেখানে তাঁর অভিনয় প্রতিভা সকলের নজর কাড়ে। এছাড়া ‘শহীদ’ (১৯৪৮), ‘জোগান’ (১৯৫০), ‘দাগ’ (১৯৫২), ‘দেবদাস’ (১৯৫৫), ইহুদী (১৯৫৮) ও মধুমতি (১৯৫৮) সহ একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে দিলীপ কুমারকে। প্রায় ৬০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

মেহবুব খানের ‘অমর’-এ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আর তারপরেই ‘ট্র্যাজেডি কিং’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন পর্দায়। নার্গিস, কামিনী কৌশল, মিনা কুমারী, মধুবালার মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন।১৯৯৪-এ ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি ১৯৯৮-এ পাকিস্তান সরকার দ্বারা প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার নিশান-ই-ইমতিয়াজ প্রদান করা হয়েছে তাঁকে। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তবে তাঁর অভিনয় জীবনে জনপ্রিয়তার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। প্রথমে প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের। পরবর্তীতে নাম জড়ায় মধুবালার সঙ্গে, কিন্তু ১৯৬৬-তে ২২ বছরের কম বয়সী অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর আসমা নামের একজনকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের সংসার শেষ হয়ে যায়। ফের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন তিনি। ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সর্বোচ্চসংখ্যক পুরস্কার বিজয়ী হওয়ার জন্য গিনিস বুকে নাম লিখিয়েছেন। ২০২১-এর ৭ জুলাই মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ৯৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version