Upendrakishore Ray Chowdhury: শিশু সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম তিনি, প্রয়াত দিবসে স্মরণে উপেন্দ্রকিশোর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Upendrakishore Ray Chowdhury: বিখ্যাত বাঙালি শিশু সাহিত্যিক তিনি। একসঙ্গে লেখক, চিত্রকর, প্রকাশক, বেহালাবাদক ও সুরকার ছিলেন। ‘সন্দেশ পত্রিকা’ শুরু তাঁর হাত ধরেই। ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ (Goopy Gyne Bagha Byne), ‘টুনটুনির বই’য়ের সৃষ্টিকর্তা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম হয় ১৮৬৩ সালের ১২ মে।

রায় পরিবারের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, তাঁদের পূর্বপুরুষ অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার চাকদহ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম ১২৭০ বঙ্গাব্দের ২৭ বৈশাখ ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে, যা অধুনা বাংলাদেশে (Bangladesh) অবস্থিত। পিতা কালীনাথ রায় ছিলেন সুদর্শন ও আরবি, ফরাসি ও সংস্কৃতে সুপণ্ডিত। মায়ের নাম জয়তারা দেবী। তাঁদের ৮ সন্তানের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন তৃতীয় পুত্রসন্তান। বাংলা সাহিত্য জগতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তিনি।

মেধাবী ছাত্র ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর। তবে পড়াশোনার থেকে বেশি, তাঁর ঝোঁক ছিল বাঁশি, বেহালা ও সঙ্গীতের প্রতি‌। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি পান। এরপর কলকাতায় এসে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। ২১ বছরে বিএ পাস করে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর (Upendrakishore Ray Chowdhury)। ব্রাহ্মসমাজের সদস্য হওয়ায় অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে মনমালিন্য হয়েছিল। ছাত্র থাকাকালীনই তিনি ছোটদের জন্য লিখতে শুরু করেছিলেন। আর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘বালক’ নামে মাসিক পত্রিকাতে তাঁর লেখা প্রকাশ পেত।

প্রথমে জীববিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। ১৮৮৬ সালে ২৩ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Dwarkanath Ganguly) প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলে সুকুমার, সুবিনয় ও সুবিমল এবং মেয়ে সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা। প্রত্যেকেই শিশু সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন সুখলতা ও সুকুমার। যোগীন্দ্রনাথ সরকারের ‘সিটি বুক সোসাইটি’ থেকে তাঁর প্রথম বই ‘ছেলেদের রামায়ণ’ প্রকাশিত হয়। তখনকার দিনে আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রাংশাদি নিজের খরচায় আমদানি করে নতুন ছাপাখানা তৈরি করেন তিনি। কারণ তাঁর বইয়ের মুদ্রণ নিয়ে খুশি ছিলেন না উপেন্দ্রকিশোর। পাশাপাশি সেখানেই একটি কামড়ায় নিজের আঁকার স্টুডিও খুলেছিলেন এই প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। তাঁর বইগুলি আজও জনপ্রিয় মানুষের কাছে। ১৯১৫-র ২০ ডিসেম্বর ৫২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার সাহিত্য দুনিয়ার এই প্রতিভাবান শিল্পী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version