Mohammed Rafi: সঙ্গীত দুনিয়ায় অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি, শুভ জন্মদিন মহম্মদ রফি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mohammed Rafi: সুরের দুনিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনি। হিন্দি ছাড়া বহু ভাষায় গান গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় সাত হাজারেরও বেশি। তাঁর গানে রয়েছে উচ্ছ্বাস, বিষাদ, ঔদাসীন্যের সংমিশ্রণ। ২০১৩-তে সিএনএন-আইবিএন-এর সমীক্ষায় তাঁকে হিন্দি সিনেমার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আজ, কিংবদন্তি সেই গায়ক মহম্মদ রফির (Mohammed Rafi) জন্মদিন।

১৯২৪-এর ২৪ ডিসেম্বর অমৃতসরে (Amritsar) জন্ম হয় তাঁর। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘ফিকো’। নিজের গ্রামে এক ফকিরের ভজন গানকে অনুকরণ করে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। বাবা হাজী আলী মহম্মদ। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রফি। ১৯৩৫-এ তাঁরা লাহোরে চলে যান। সেখানে গায়কের বাবা সেলুন চালাতেন। রফি শাস্ত্রীয় সংগীত শিখতে শুরু করেছিলেন উস্তাদ আব্দুল ওয়াহিদ খানের কাছে। তারপর পণ্ডিত জীবন লাল মট্টু এবং ফিরোজ নিজামীর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করেন। প্রথমবার ১৯৪১-এ ‘গুল বালুচ’ নামে একটি পঞ্জাবি ছবিতে জিনাত বেগমের সঙ্গে ডুয়েট গান করেন। যা ১৯৪৪-এ মুক্তি পায়, আর এর পরই লাহোরের ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’তে গান গাওয়ার সুযোগ পান তিনি।

১৯৪৪-এ রফি পা রাখেন বোম্বেতে। সেখানে বড় বড় চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ১৯৪৫-এ প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ পান। ‘পেহলে আপ’ ছবির জন্য তিনি প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক নওশাদের সুরে ‘হিন্দুস্তান কে হাম হে’ গানটি করেন। পরবর্তীতে নওশাদের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন রফি সাব। ১৯৪৬-এ মুক্তিপ্রাপ্ত মেহেবুব খানের ‘আনমোল ঘড়ি’ ছবিতে গান করেছেন তিনি। অন্যদিকে ১৯৪৮-এ গান্ধীজির (Gandhi) মৃত্যুর পর মহম্মদ রফি তাকে স্মরণ করে ‘হাসানলাল ভগৎরাম রাজেন্দ্রকৃষ্ণের সুরে গান করেন। যেই গান গাওয়ার জন্য নিজের বাড়িতে রফিকে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু। সেই গানের জন্য প্রথম স্বাধীনতা দিবসের দিন রফিকে রৌপ্য পদক প্রদান করেন নেহরু। কিশোর কুমার অভিনীত বহু ছবিতে গান গেয়েছেন রফি।

পাশাপাশি শংকর জয়কিষণের সুরে প্রায় ৩৪১টি গান গেয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে অন্যতম হল, ‘বাহারো ফুল বরসাও’, ‘চাহে কই মুঝে জঙ্গলি কহে’ ইত্যাদি। শচীন দেব বর্মনের সুরেও অনেকগুলি গান গেয়েছেন মহম্মদ রফি। দেব আনন্দ ও গুরু দত্তের লিপে শচীন দেব বর্মন (S. D. Burman) গান গাওয়াতেন রফিকে দিয়ে। প্রায় ৩৭টি ছবিতে শচীন দেশ বর্মনের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। বলতে গেলে, পঞ্চাশের দশকে ও ষাটের দশকে রফি প্রচুর গান করেছেন। ও.পি. নাইয়ারের (O.P.Nayyar) সুরে রফির গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলি হল, ‘ইয়ে হ্যায় বোম্বে মেরি জান’, ‘ইয়ে চাঁদ সা রৌশন চেহরা’, ‘জওয়ানিয়া ইয়ে মস্ত মস্ত’। সঙ্গীত কলায় অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় পদক এবং ৬ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ভারত সরকার প্রদত্ত ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে রফি একজন নক্ষত্র হয়ে রয়ে গিয়েছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version