Vidya Balan: অভিনয়ে টিকে থাকতে কখনও রোগা হওয়ার চেষ্টা করেননি, জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিদ্যা বালানকে

।। প্রথম কলকাতা।।

Vidya Balan: কখনও ভাবেননি বলিউডে জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে উঠবেন। তাঁর কাছে এটা কোনও স্বপ্নের থেকে কম নয়। আজও দাপটের সঙ্গে বলিউডে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’, ‘শকুন্তলা দেবী’র মত ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রতিভা দেখা গিয়েছে। ১৯৭৯-এর ১জানুয়ারি জন্ম হয় তাঁর। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিদ্যা বালানকে (Vidya Balan)।

হিসেব অনুযায়ী, ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন নায়িকা। কিন্তু তাও ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিজ্ঞাপন থেকে মিউজিক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছোটবেলা থেকেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছে ছিল। শাবানা আজমি (Shabana Azmi) এবং মাধুরী দীক্ষিতের (Midhuri Dixit) থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে একতা কাপুরের (Ekta Kapoor) শো ‘হাম পাঁচ’-এ অভিনয়ের দরুন তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। রাধিকার চরিত্রে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।

তবে টিভি সিরিয়াল দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও, চলচ্চিত্রই ছিল তাঁর লক্ষ্য। মালয়ালাম (Malayalam) এবং তামিল (Tamil) চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে সফল হননি। এমনকি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার মোহনলালের (Mohanlal) সঙ্গে কাজ করার সুযোগও হয়েছিল। কিন্তু কিছু মতপার্থক্যের কারণে ছবিটি মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ছবি বন্ধের জন্য দায়ী করা হয়েছিল বিদ্যা বালানকেই। কখনোই তথাকথিত অভিনেত্রীদের মতো স্লিম অ্যান্ড ট্রিম ছিলেন না অভিনেত্রী। যে কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনকি অভিনেত্রী একবার জানিয়েছিলেন যে, সেই সময় তিনি নিজেকে সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন। নিজের শরীরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লেগে গিয়েছিলেন এবং খুবই রেগে গিয়েছিলেন নিজের উপর। তবে তাঁর পরিবার তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে। ‘কাহানি’ (Kahaani), ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ (The Dirty Picture)-এর মত চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

বহুবার ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন নায়িকা। কলকাতাকে নিজের বাড়ি, নিজের জায়গা বলে ভাবেন তিনি। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতির ওপর তাঁর একটা টান রয়েছে। অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি হোক কিংবা পার্টি, সব জায়গাতেই শাড়িতে নজর কাড়েন বিদ্যা। পরিচালক গৌতম হালদারের (Goutam Halder) ‘ভালো থেকো’ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন নায়িকা। এছাড়া অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee), জয় সেনগুপ্ত, বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ প্রমুখ। ২০০৩ -এ মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু সেভাবে বক্স অফিসে চলেনি ‘ভালো থেকো’। মায়া নগরীতে গিয়ে বিখ্যাত হবার পর বাঙালিরা তাঁকে চিনেছে।

অভিনেত্রী ভালোবাসেন বাঙালি খাবার, বাঙালিদের শাড়ি, খোপায় জুঁইয়ের মালা আর মিষ্টি দই। এমনকি বেশকিছু ছবিতে অভিনেত্রীর চরিত্র বাঙালির। ‘পরিণীতা’ ছাড়াও ‘ভুল ভুলাইয়া’ (Bhool Bhulaiyaa), ‘কাহানি’তে বাঙালি চরিত্রে নজরে এসেছেন তিনি। অনেকেই তাঁকে বাঙালি বলে ভুল বলে। তাঁদের মনে, বিদ্যা বাংলার মেয়ে, কলকাতা (Kolkata) তাঁর আরেক বাড়ি ঠিকই। বলতে গেলে, কেরালা জাতিকা নায়িকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সিটি অফ জয়। ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে ছবি করার বড় ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু ঋতুহীন সাম্রাজ্যে তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। ২০১২-তে বিয়ে করেছেন সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে (Siddharth Roy Kapur)। তবে বলিউডে টিকে থাকার জন্য কখনই মেদ ঝরিয়ে রোগা হননি অভিনেত্রী। নিজের দাপটে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version