Soumitra Chatterjee: ‘মহানায়ক’-এর তকমা ছাড়াই জায়গা করেছেন বাঙালির মনে, শুভ জন্মদিন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Soumitra Chatterjee: সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ ছবি দিয়ে শুরু করেছিলেন নিজের কেরিয়ার। এর পর একাধিক চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তিনি শুধুই একজন অভিনেতা নন, কবি, নাট্যকার, লেখক, পরিচালক ও একজন বাচক শিল্পীও বটে। জন্মদিন নিয়ে কখনোই কোনওরকম ‘আদিখ্যেতা’ পছন্দ হয়নি তাঁর। কথায়, হাব-ভাবে, হাঁটা-চলায় একজন আদ্যোপান্ত বাঙালি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। ১৯৩৫-এর আজকের দিনে জন্ম হয় তাঁর।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অভিনয়ে আসার আগে রেডিওর ঘোষক ছিলেন সকলের প্রিয় ‘ফেলুদা’। সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া মৃণাল সেন (Mrinal Sen), তপন সিংহ, অজয় করের মতো পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। সিনেমা ছাড়া বহু নাটক, যাত্রা ও টিভি ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় প্রতিভার দেখা মেলে। তাঁর অভিনীত চরিত্র গুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে “ফেলুদা” (Feluda)। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘সোনার কেল্লা’ ও ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র বাবু। তাঁকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন, তাঁর চেয়ে ভালো আর কেউ ছবি দুটি করতে পারত না।

‘চারুলতা’, ‘তিন কন্যা’, ‘ঝিন্দের বন্দী’, ‘ক্ষুদিত পাষাণ’, ‘বাক্স বদল’, ‘কাপুরুষ’, ‘অজানা শপথ’, ‘তিন ভুবনের পারে’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ র মত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান Officier des Arts et Metiers পেয়েছেন সৌমিত্র বাবু। সত্তরের দশকে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন, কিন্তু গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮-তে পান সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। ২০০১ ও ২০০৮-এ দুবার চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পান। সেইসঙ্গে ২০১২-তে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

ষাট বছরের কেরিয়ারে নিজের অভিনয়ের দরুন তিন শতাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁর কাছে কোনও ‘মহানায়ক’-এর তকমা নেই। তাঁর অভিনয় এবং কবিতায় তাঁর কণ্ঠ আজও ভক্তদের মন কাড়ে। উত্তম কুমারকে তিনি টক্কর দিতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে আজও প্রচুর মতবিরোধ রয়ে গিয়েছে। তিনি গম্ভীর না হলেও তাঁর গলায় গাম্ভীর্য প্রকাশ পেয়েছে। টলিউডের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে একজন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কারো কাছে তিনি ‘ফেলুদা’, আবার কারোর কাছে তিনি অপু। এক কথায় বাঙালির মনের মনিকোঠায় রয়েছেন তিনি। তাঁর চলে যাওয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version