হতশ্রী পারফরম্যান্সে বিদায় বাংলাদেশের, সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ না পাওয়ার লজ্জা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

অসহায় আত্মসমর্পণের জ্বলন্ত উদাহরণ যদি কিছু হয় তা পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়। চলতি বিশ্বকাপে একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স টাইগারদের। তবুও এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে অন্তত সাকিবরা জ্বলে উঠবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন ওপার বাংলার বহু ক্রিকেটপ্রেমী। ওপার বাংলা সহ এপার বাংলার কয়েক হাজার দর্শক এদিন ইডেনে গলা ফাটিয়েছেন টাইগারদের হয়ে। কিন্তু একী হলো! সমর্থন, প্রাণ উজাড় করা ভালোবাসা, প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটানো কোনও কিছুই যে কাজে লাগল না। বাংলাদেশ দল যে তিমিরে ছিল সেখানেই থেকে গেলো। শুধু তাই নয় তলিয়ে গেল অতল গহ্বরে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। সাতটি ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু তারপর সাকিবদের হারতে হয় ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এমনকী নেদারল্যান্ডসের কাছেও। মঙ্গলবার ইডেনে পাকিস্তানের কাছেও পরাজিত হল তারা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এই করুণ অবস্থার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে তো? ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই আটটা দল খেলতে পারবে যারা বিশ্বকাপে প্রথম আটে শেষ করবে।

বর্তমান পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে। তাদের বাকি রয়েছে দুটি ম্যাচ। একটি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এবং অন্যটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। পরবর্তী দুটি ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে, অন্য দলের ফলেও। বাস্তবটা খুবই কঠিন বাংলাদেশের কাছে। সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা কার্যত অনিশ্চিত টাইগারদের একথা বলাই যায়। কারণ তাদের যা পারফরম্যান্স তাতে বাকি দুটো ম্যাচে জয় আশা করছেন না সমর্থকদের একাংশ। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রাফিতে না খেলতে পারার লজ্জায় মুখ ঢাকতে হবে টাইগারদের।

১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এত বছর পরেও বাংলাদেশ দলের সাফল্য অধরা। তাদের বিশ্বকাপের দুই দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। তা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও। নিজের ক্যারিয়ারের সবথেকে খারাপ বিশ্বকাপ বলে অভিহিত করেন সাকিব। দীর্ঘদিনের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা, সেই সঙ্গে ছিল ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা। আর তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবার বিশ্বকাপে সাকিবের হাতে তুলে দিয়েছিল দলের গুরুদায়িত্বের ভার। কিন্তু স্বপ্নপুরণে ব্যর্থ বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাট, বল কোন কিছুতেই নিজের দক্ষতা দেখাতে পারেননি। ফর্মে ফেরার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে দেশে ফিরে গেলেও আখেরে তা কোনও লাভ হয়নি। কঠিন পরিস্থিতিতে সাকিবের দেশে ফেরাকে ভালোভাবে নেননি সমর্থকরাও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version