।। প্রথম কলকাতা।।
Aindrila Sharma: কেটে গিয়েছে ১৩-১৪ দিন। জ্ঞান ফেরে নি ঐন্দ্রিলার। শারীরিক অবস্থার উন্নতির থেকে বেশি অবনতি হয়েছে। অলৌকিক কিছু ঘটার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী। অভিনেত্রীর এই লড়াইয়ে সকলকে পাশে চেয়েছেন তিনি। ১ নভেম্বর নায়িকার অসুস্থ হওয়ার খবর জানাজানি হতেই, প্রার্থনা শুরু করেছে তাঁর ভক্তকুল থেকে টলিপাড়া সবাই। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে না চিনলেও, তাঁর জন্য প্রার্থনায় জড়ো হয়েছেন সকলে।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
সব্যসাচী বা ঐন্দ্রিলা কাউকেই ব্যক্তিগত দিক থেকে চেনেন না পরমব্রত। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। ফেসবুকে অভিনেতা লিখেছেন, ‘এই ছোট্ট মেয়েটির জন্য আমরা সকলে প্রার্থনা করি চলুন। আর ওঁর সঙ্গীর জন্যও প্রার্থনা করি, যে এই কঠিন সময়ে দৃঢ় মনে ওঁর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে’।
জিতু কমল
গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎই নিজের প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেছেন জিতু কমল। তাঁর পিকচারে মা কালীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় সব্যসাচীর ছবি দেখা গিয়েছে। আর তাঁর প্রোফাইল পিকচারে সব্যসাচীর ছবি দেখে সকলেই বুঝে গিয়েছেন, কী বলতে চেয়েছেন অভিনেতা। পাশাপাশি ছবির নীচে তিনি লিখেছেন, ‘ঈশ্বরকেও কখনও কখনও মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, এই ছেলেটির নাম সব্য’। তাঁর এই পোস্টের নীচে মন্তব্যের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সকলেই কিছু মিরাকেল হওয়ার আশায় বসে রয়েছে।
বিদীপ্তা চক্রবর্তী
ব্রেন স্ট্রোক হয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ হাসপাতালে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার ক্যান্সারকে হারিয়ে ফের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অভিনেত্রী। তাঁর সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন সবাই। সেইসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এক মাও। তাঁর আর্জি সকলের কানেই পৌঁছেছে। এদিন মেয়ের জন্মদিনে অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমারও প্রায় এই বয়সী একটা মেয়ে আছে। তাঁর জন্মদিনে আজ মন-প্রাণ দিয়ে আমার এইটুকুনি প্রার্থনা, এই কঠিন লড়াই জিতে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক মেয়েটা। ঐন্দ্রিলার বাবা-মা আর সব্যসাচীর পাশে থেকে শুধু প্রার্থনা করছি, ওঁদের এই খারাপ সময় কেটে যাক খুব তাড়াতাড়ি’। এদিন অভিনেত্রীর লেখা প্রতিটি শব্দে এক মায়ের আর্জি ফুঁটে উঠেছে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝে ফোন ঘাটতে গিয়ে সহকর্মী সব্যসাচীর পোস্ট নজরে আসে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। এতদিন কোনও কিছু না বলে তাঁর পাশে থাকলেও, এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অনিন্দ্য। লিখেছেন, ‘এতদিন খালি মনে মনে প্রার্থনা করে গিয়েছি ওঁর জন্য। বলেছি, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে ওঁ। আজকে শট দিতে যাওয়ার আগে সব্যসাচীর পোস্টটা মনে লেগেছে। একটাই প্রার্থনা, ঐন্দ্রিলা আগে যেভাবে ফিরে এসেছে, এবারও যেন সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটে’।
রিমঝিম গুপ্ত
পর্দার মেয়ের জন্য এবার হাত জুড়েছেন রিমঝিমিও। লিখেছেন, ‘অনেক বছর বসে থাকার পর জিয়ন কাঠি আমার কামব্যাক ছিল। আমার বেশি ওজন থাকায়, লীনা দি-অর্কদা বলল হিরোইনের মায়ের চরিত্র। একটু ভেবেছিলাম, তারপর তোঁর সঙ্গে দেখা। তুই বলেছিলি, ‘তুমি হিরোইন হয়ে মায়ের চরিত্র কেন করছ?’ তুই একজন ছিলিস যে সকলের জন্য চিন্তা করত, যত্ন করত। তোঁর কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। তোঁর হাসিতে পুরো ফ্লোর আটকে থাকত। আবার দেখবো সেই হাসি। আমার অন স্ক্রিন মেয়ে ছিলি যে। সবসময় তোঁকে মা বলতাম, তাড়াতাড়ি ফিরে আয়’।
বিক্রম চ্যাটার্জি
ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনায় এগিয়ে এসেছেন বিক্রমও। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘তাড়াতাড়ি ফিরে এসো। আমার সমস্ত শক্তি ও প্রার্থনা তোমাকে পাঠাচ্ছি’। এতদিন মনে মনে যা চেয়ে এসেছেন, আজ প্রকাশ্যে তা জানাচ্ছেন।
অভিনেত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কে নতুন করে রক্ত জমাট বেঁধেছে। যে অস্ত্রপচার হয়েছিল তার বিপরীত দিকে বেশ কয়েক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। এবার আর অস্ত্রপচার করা হবে না। ওষুধের সাহায্যেই জমাট বাঁধা রক্ত বের করার চেষ্টা চলছে। বাড়ানো হয়েছে ভেন্টিলেশনের প্রেসারও। নায়িকার বাড়ির লোকের সঙ্গে না খেয়ে-দেয়ে রাতের পর রাত তাঁর পাশে রয়েছেন সব্যসাচী। গোটা বাংলা তাঁদের এই লড়াইয়ের সাক্ষী রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম