।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হার। দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরু থেকে ছন্নছাড়া ছাড়া ফুটবল। ম্যাচ হারলেই বিশ্বকাপে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত জার্মানির। এমন পরিস্থিতিতে গোল খেয়ে আরও কোনঠাসা হয়ে পড়ে জার্মানি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াল হান্স ফ্লিকের দল। নিকোলাস ফুলকরাগের গোলে সমতায় ফিরল ২০১৪ চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মানি।
কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন। প্রথম ম্যাচে জাপানের অপ্রত্যাশিত হারে এই ম্যাচ জার্মানির কাছে ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৭ গোল দেওয়া স্পেন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করে । তবে খোলস ছেড়ে বেড়াতে সময় লাগলো জার্মানির। তবে পাল্টা আক্রমণে সেইভাবে সুযোগ আদায় করতে পারেনি ২০১৪ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই গতি হারিয়েছে দুই দলের খেলায়। ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে দুই দলই। ৪০ মিনিটে কিমিচের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য বাতিল হয় গোল। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় জার্মানি। সুযোগও তৈরি করে কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ ২০১৪ চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফেরান টরেসকে তুলে মোরাতাকে নামান স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিক। আর তাতেই সুফল মেলে স্প্যানিশ আর্মাডার। ৬২ মিনিটে জর্দি আলবার পাশ থেকে আলতো টোকায় ম্যানুয়েল নুয়েরকে ফাঁকি দিয়ে গোল করে যান মোরাতা। এরপরই সমতায় ফিরতে তেড়েফুঁড়ে লাগে জার্মানি। স্পেনের রক্ষণে হানা দিয়ে একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তুলে আনতে থাকে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৮২ মিনিটে সমতায় ফেরে জার্মানি। জোরালো শটে দলকে সমতায় ফেরান পরিবর্ত নামা নিকোলাস ফুলকরাগ। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ গড়ে তোলে জার্মানি তবে আর গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই মাঠ ছাড়ে হান্স ফ্লিকের দল।