।। প্রথম কলকাতা ।।
Fasting in Islam: চলছে পবিত্র রমজান (Ramadan) মাস। রমজান মাস চলাকালীন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা রোজা পালন করেন। রোজা পালন করা একেবারেই মুখের কথা নয়। বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের আগে সেহরি খাওয়ার পর সারাদিন উপবাস রাখতে হয়। তারপর সন্ধ্যের সময় সূর্যাস্তের পর ইফতারির মাধ্যমে ভাঙতে হয় উপবাস। মাঝখানে প্রায় ১২ ঘণ্টার রোজা রাখা বেশ কঠিন। যদিও ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে রোজা রাখা একেবারেই কঠিন নয়। রোজা ধর্মীয় বিধি-বিধানের অংশের পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য নীতিরও একটি বড় অংশ রূপে রয়েছে। বলা হয় রোজা রাখার পরে ফলে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রচুর উপকারিতা মিলতে পারে। এক নজরে রেখে দেখে নিন রোজা রাখার আশ্চর্য কিছু উপকারিতা।
- যে ব্যক্তি রমজান মাস চলাকালীন নিয়মিত রোজা রাখেন এবং ধর্মের পথে থাকেন, তার চিন্তা চেতনা অনেক উন্নত হয়। পাশাপাশি তারা আত্মপর্যালোচনা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- সঠিকভাবে রোজার নিয়ম পালন করলে সেই ব্যক্তির শরীর নানান ধরনের চাপ নিতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তিনি মানসিক ভাবে প্রশান্তি অনুভব করেন।
- রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদে বিশ্লেষণ করা রয়েছে কোরআন এবং হাদিসে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কিংবা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শরীর সুস্থ রাখে রাখতে রোজার বহু ইতিবাচক গুণ রয়েছে, যা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
- বহু ব্যক্তি আছেন যাদের অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার বদ অভ্যাস রয়েছে। তারা রোজার সময় এই বদ অভ্যাস দূর করতে পারেন। পাশাপাশি যাদের কোনো নেশা দ্রব্যের প্রতি আসক্তি রয়েছে তারা রোজার মাসে আসক্তি থেকে দূরে থাকেন।
- মনে হয় যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের কিছু তাদের ক্ষেত্রে রোজা কিছুটা হলেও উপকারী।
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীরকে বিষমুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী উপায় রোজা, তবে এক্ষেত্রে ইফতার কিংবা সেহেরিতে আপনি কোন কোন খাবার খাচ্ছেন সেই বিষয়ে একটু গুরুত্ব দিতে হবে। বেশি ভাজাপোড়া বা মশলা জাতীয় খাবার ত্যাগ করে পুষ্টিকর খাবারের দিকে মন দিতে হবে।
- সারাদিন রোজা রাখা মানে দিনের অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকা। এক্ষেত্রে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং ফ্যাট কমতে থাকে।
- কথিত আছে কোন ব্যক্তি যদি সঠিক নিয়ম মেনে একমাস টানা রোজা রাখেন তিনি জীবনের সঠিক পথে চলার শক্তি অর্জন করেন। তিনি নিজেকে সংযত রাখেন এবং পাপ কাজ থেকে দূরে থাকেন।
কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন?
রোজা পালনের মাধ্যমে উপকার পেতে গেলে কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া অবশ্যই দরকার।
- যেহেতু সারাদিন উপবাস চলাকালীন জল খেতে নেই তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত আপনাকে অন্তত দশ গ্লাস জল খেতে হবে।
- সারাদিন খাওয়া যাবে না, এই ভেবে সেহেরিতে একগাদা খাবার খেলে হবে না। পেটের কিছুটা অংশ অন্তত ফাঁকা রাখা উচিত। না হলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
- রোজা চলাকালীন রমজান মাসে চা-কফি বা কোমল পানীয় একটু এড়িয়ে চলাই ভালো। তার পরিবর্তে সেহেরি কিংবা ইফতারে বেশি পরিমাণে রাখতে হবে তাজা ফল এবং শাকসবজি। সেক্ষেত্রে রাখতে পারেন তরমুজ, শসা, টমেটো, লেবু, খেঁজুর প্রভৃতি।
- সেহেরিতে আপনি ঠিক কি খাবেন তা বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন খাবার বাছবেন যা ইফতার পর্যন্ত আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বিভিন্ন সবজি, বীজ, ছোলা, মসুরের ডাল, লো ফ্যাটের দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, মাছ, জলপাই, অ্যাভোকাডো প্রভৃতি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম