।। প্রথম কলকাতা ।।
বাঁকুড়ায় চিন্তা বাড়াচ্ছে দারকেশ্বর নদ। নদী ভেসে নিয়ে যাচ্ছে সব। ডিভিসি-এর জলে ভেসে গেল বাঁকুড়ার বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। এই ক্ষতি কীভাবে সামলে উঠবেন তা বুঝতে পারছেন না কৃষকরা। বাজারে আনাজের দামে আগুন। আরেকটু বৃষ্টি হলে কোন সর্বনাশ হতে পারে বাঁকুড়াবাসীর? নদীতে সারাবছর হাঁটুজল থাকে, তাকে এখন চেনা দায়। জলের শব্দে দিশেহারা মানুষজন। এদিকে টানা বৃষ্টি চলছে। আর সেই বৃষ্টির কারণেই দারকেশ্বর নদ যেন ফুঁসছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ডুবে গেছে একাধিক সেতু।ডিভিসি আরও জল ছাড়লে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে?
দ্বারকেশ্বর নদ রীতিমতো বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছে নদীতে প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতা বেড়েছে জলের প্রশাসনের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ এই নদ। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাঁধে জলের পরিমাণ বিপুলভাবে বেড়ে যাওয়ায় ডিভিসি গত কদিন ধরে লাগাতার জল ছেড়ে চলেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। কৃষকদের চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিঘার পর বিঘা সবজি ও ধান জমি চলে গেছে জলের তলায়। বিপুল ক্ষতির মুখে এখানকার কৃষকরা। গরমে বাঁকুড়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যা দেখা দেয় তখনও ক্ষতির মুখ দেখতে হয় কৃষকদের। এবার পুজোর আগেই অসময়ের ভারী বর্ষণে আবার মাথায় হাত পড়ল।
যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। বাঁকুড়া জেলার বাজারগুলিতে আগুন দাম বাজারে ১০০ টাকা কেজি শসা, ২০০ টাকা কেজি লঙ্কা, ৮০ টাকা কেজি ফুলকপি। পুজোর আগে যে লাভের আশা তারা করেছিলেন তা আর হলনা। কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের মানুষ চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনায় জেলার সোনামুখী, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের ব্লকের নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই আশঙ্কা আপাতত কেটেছে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। তবে বৃষ্টি আরো হলে কি পরিস্থিতি হবে সেই নিয়ে চিন্তা রয়ে যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম