বিশ্বকাপে নেবেন না এক টাকাও! দেশের জন্য খেলার সিদ্ধান্ত রশিদের

।। প্রথম কলকাতা ।।

আরও একবার ক্রিকেটবিশ্বের মন জয় করলেন আফগানিস্তান তারকা রশিদ খান। চলতি বিশ্বকাপে একটিও টাকা না নিয়ে বিশ্বকাপ খেলার অঙ্গীকার করলেন রশিদ খান। কিন্তু কেন? যদিও এর আগেও বহুবার তিনি নিজের মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। ব্যাট হাতেও কার্যকরী ইনিংস খেলতে দক্ষ। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের এই স্তম্ভ বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও দাপট দেখান।

শনিবার ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল তাঁর দল। বিশ্বকাপের প্রথম পরীক্ষাতেই বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছে আফগানদের। আর তখনই মর্মান্তিক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। যার ভয়াবহতা ছিল ভয়ঙ্কর। ২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। নিখোঁজ এখনও বহু। ধ্বংসাবশেষে আটকে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য চলছে অভিযান। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছুঁয়েছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল জনবহুল হেরাতের ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের পর ৮টি আফটারশকের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তানে এত বড় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেনি।

দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আফগান খেলোয়ারদের মানসিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান দলের অন্যতম ক্রিকেটার বিশ্বকাপে নিজের সব ম্যাচ ফি দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন, দেশের ভূমিকম্পে দুর্গত মানুষদের উদ্দেশ্যে। মাঠে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেও, বাস্তবে তিনি যে একজন দায়িত্ববান নাগরিক। তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান। ম্যাচের পর এক্স হ্যান্ডেলে আহত এবং মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রশিদ।

আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে রয়েছেন। রশিদ খান এদিন এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, আফগানিস্তানে যে ভূমিকম্প হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। দেশের পশ্চিম অংশের হেরাত, ফারাহ ও বাঘদিসে ভূমিকম্পে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া পুরো ম্যাচ ফি আমি দুর্গত মানুষজনের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি দেশের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দ্রুতই তিনি ত্রাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান রশিদ খান। আগামী ১১ অক্টোবর বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version