।।প্রথম কলকাতা।।
Winter diet: শীতকাল অনেকেই টক দই খেতে ভয় পান। ভাবেন, ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হবে। তাই এই সময় অনেকেই দই খাওয়া বন্ধ রাখেন। চিকিৎসকরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, শীত পড়লেই জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। এ সময়ে রোগের সঙ্গে লড়তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে তোলে টক দই।
টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়ামও থাকে। শীতকালে হাড় ভাল রাখতে দই খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালশিয়াম সবচেয়ে উপকারী উপাদান। এ ছাড়া গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপা, গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের ক্ষমতা অপরিসীম। দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এবং ফসফরাস। শরীরের ভেতর ঘটে চলা আরও অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে টক দই।
শীতকালে টক দই খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা। শীতকালে দই খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং দই খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শীতকালেও মেপে টক দই খাওয়া দরকার।
তবে শীতকালে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বের করে খেলে সমস্যা তো হবেই। তখন সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই শীতকালে দই খেতে হলে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে তা ফ্রিজ থেকে বার করে নিন। দইয়ের ঠান্ডা ভাব কেটে গেলে তার পর খান।
দুপুরে খাওয়ার পরে এক বাটি দই খেয়ে নিন। সকালের জলখাবারেও রাখতে পারেন এই দই। শুধু দই খেতে না চাইলে মরশুমি কিছু ফল দিয়ে একটি স্মুদি বানিয়ে নিন।অনেকেই ওট্স খান।তা হলে দই দিয়েও খেতে পারেন। ওজনও বাড়বে না। শীতে সুস্থ থাকবে শরীরও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম