Irrfan Khan: ক্রিকেটার থেকে হয়ে গিয়েছেন অভিনেতা, শুভ জন্মদিন ইরফান খান

।। প্রথম কলকাতা ।।

Irrfan Khan: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। আসলে তাঁর নাম ছিল অন্য, কিন্তু তিনি নিজের লম্বা নাম শুনতে ভালোবাসতেন না। যে কারণে নাম ছোট করে রাখেন ইরফান (Irrfan Khan)। ২০১২-তে নিজের নামের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ‘আর’ যোগ করেন। কারণ নামটি শুনতে ভালো লাগে তাঁর। দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিলেন তিনি, হয়ে গিয়েছেন অভিনেতা।

১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। যখন তিনি মাস্টার্স পড়ছেন, তখনই দিল্লির (Delhi) ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে বৃত্তি পান। বলা হয়, তিনি নাকি তাঁর থিয়েটারের অভিজ্ঞতা নিয়ে মিথ্যে বলেছিলেন ভর্তি হওয়ার সময়। তবে সেখানে গিয়ে তাঁর দেখা হয় ভবিষ্যতের স্ত্রী সুতপা শিকদারের সঙ্গে। কিন্তু মুম্বইতে তাঁর প্রথম চাকরি একজন এসি মেকানিকের। অনেকে বলেন চাকরির প্রথম দিকে তিনি নাকি রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) বাড়িতে যেতেন এসি সারাতে। টেলিভিশন (Television) দিয়ে নিজের অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ‘চাণক্য’, ‘ভারত এক খোঁজ’, ‘সারা জাঁহা হামারা’, ‘বনেগি আপনি বাত’, ‘চন্দ্রকান্তা’ এবং ‘ষ্টার বেস্ট সেলার্স’-এর মত ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

এমনিতে দেখা যায় হলিউডের (Hollywood) কোনও ছবির অফার বলিউডের তারকারা ফিরিয়ে দেন না। কিন্তু ক্রিস্টোফার নোলানের মত পরিচালককে ফিরিয়েছিলেন ইরফান। তাঁর ‘ইন্টারস্টেলার’ ছবিতে একটি মাঝারি রোলের অফারও অভিনেতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ সেই সময় ‘লাঞ্চ বক্স’ (The Lunchbox) এবং ‘ডি ডে’ ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল তাঁর। তাঁর হাইট খুব লম্বা ছিল। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি ছিল তাঁর উচ্চতা। বলিউডের লম্বা অভিনেতাদের সঙ্গে একই সারিতে নাম আসত তাঁর। গ্যাভিন ও’কনার পরিচালিত ‘দ্য ওয়ারিয়র’ ছবি তাঁকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিখ্যাত করে তুলেছিল। তাঁর অভিনয়ের তারিফ করেছিলেন জুলিয়া রাবার্টসের মত অভিনেত্রীও। এক অস্কার সম্মানের রাতে জুলিয়া আলাদাভাবে তাঁকে ডেকে মীর নায়ারের ‘নেমসেকে’ তাঁর অভিনয়ের সুনাম করেছিলেন। ইরফানের স্বপ্ন ছিল, মাকে সুটকেস ভর্তি টাকা দেবেন তিনি। ঠিক যেমনটা দেখা যায় হিন্দি সিনেমায়। তিনি একমাত্র অভিনেতা যিনি দুটো অস্কার পুরস্কার জেতা ছবির অংশ, ‘লাইফ অফ পাই’ এবং ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’।

আজ তিনি বেঁচে থাকলে, মানুষ আরো ভালো ভালো ছবি উপহার পেতেন। সহকর্মী থেকে শুরু করে সহ-অভিনেতা, পরিচালকদের কাছে তিনি আজও চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছেন। অসামান্য প্রতিভা এবং অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার কারণে দর্শকদের মনের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যদিও তথাকথিত বলিউড কমার্শিয়াল সিনেমায় সেভাবে তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু তাঁর প্রত্যেকটি সিনেমাই দর্শকদের মনে গভীর দাগ কেটে গিয়েছে। ‘পান সিং তোমার’ হোক কিংবা ‘পিকু’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’ হোক কিংবা ‘তলোয়ার’, সব সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অভিনেতা। এই প্রতিভাবান শিল্পী ২০২০-র ২৯ এপ্রিল সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। তাঁর চলে যাওয়া, বলিউডের জন্য এক অত্যন্ত বড় ক্ষতি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version