Aindrila Sharma : লড়াই জারি রয়েছে ঐন্দ্রিলার, অভিনেত্রীর পরিবারের পাশে অরিজিৎ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Aindrila Sharma: হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে হাওড়ার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী‌। আর বিগত কয়েকদিনে তাঁর সুস্থতায় হাতজোড় করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। পাশে রয়েছে টলিপাড়া। সকলের একটাই আশা, দু’বার যেভাবে ক্যান্সারকে হারিয়েছেন তিনি, এবারেও সেভাবেই লড়াই জিতবেন অভিনেত্রী। কিন্তু অন্যদিকে এই ক’দিনে তাঁর হাসপাতালের বিল পৌঁছে গিয়েছে ১২ লক্ষের উপর। নিঃশব্দে মুর্শিদাবাদের মেয়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদের ছেলে।

‘নিউজ 18 বাংলা’য় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এবং প্রয়োজন পড়লে রাজ্যের বাইরে অন্য কোথাও ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা করাতে গেলে সেই খরচ নেবেন অরিজিৎ সিং। রিপোর্ট অনুযায়ী, সব্যসাচী এবং অভিনেত্রীর পরিবার কলকাতার বেস্ট নিউরো মেডিসিন এবং নিউরো সার্জেনদের নিয়ে আসছেন ঐন্দ্রিলাকে দেখানোর জন্য। চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কেউই। আর এরই মাঝে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পরিচিত গায়ক অরিজিৎ সিং। যদিও সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে কিছু জানাননি গায়ক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভালো নেই ঐন্দ্রিলা। প্রায় ১৫ দিনের উপর ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থায় না উন্নতি হয়েছে, আর না অবনতি। কিন্তু পরিস্থিতি সংকটজনক। সম্পূর্ণ অক্সিজেন সাপোর্টেই রয়েছেন। শরীরে গ্লাসগো কোমা স্কেলের মাত্রা অনেকটাই কম। একজন সুস্থ মানুষের গড়ে যে মাত্রা থাকা উচিত ১৫-র মধ্যে, সেখানে অভিনেত্রীর শরীরে তা ৫-এর নীচে রয়েছে। এদিকে নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে ঐন্দ্রিলার পরিবার ও সব্যসাচী।

বুধবার ভেন্টিলেশনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। একবার নয় একাধিকবার। সিপিআর দেওয়া হয় তাঁকে। তাতে সাড়া দিয়েছেন অভিনেত্রী। এর আগে মঙ্গলবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, স্ক্যান রিপোর্ট বলছে মস্তিষ্কের যেদিকে অস্ত্রপচার হয়েছে তার বিপরীতে বেশ কিছু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। তা ওষুধের মাধ্যমে ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে, জানানো হয়েছিল। এরপর বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। এখন কিছু অলৌকিক ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version