।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপের জয়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। আর তার মধ্যেই গ্যালন গ্যালন বিয়ার পাড়ি দিচ্ছে আর্জেন্টিনায়। জার্মানির ফ্রি বিয়ারে এবার ভাসবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবের উন্মাদনা আরও বেড়ে গেল আলবিসেলেস্তেদের। এতো পরিমাণ বিয়ার কেন আর্জেন্টিনায় পাঠানো হচ্ছে জানেন?
প্রথমবার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে বসে বিয়ার পান করার আমেজ নিতে পারেননি সমর্থকরা। গোটা বিশ্বকাপ থেকেই অ্যালকোহল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফিফা। যার ফলে মহাফাঁপরে পরে ফিফার প্রধান স্পনসর সংস্থা বাডওয়াইজার। টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেলেও সংস্থাটির কাছে রয়ে গেছে গ্যালন গ্যালন অবিক্রিত বিয়ার। বিশ্বকাপে অবিক্রিত বিয়ারগুলির জন্য দারুন পরিকল্পনা করেছে বাডওয়াইজার। বিশ্বকাপ থেকে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ হওয়ায় তাঁরা ঘোষণা করেছিল অবিক্রিত সমস্ত বিয়ার ফ্রিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের সমর্থকদের উপহার দেওয়া হবে। সেই মতো কথা রেখে প্রায় ১০ কোটি বিয়ার আর্জেন্টিনায় পাঠাচ্ছে জার্মান সংস্থাটি।
তবে আর্জেন্টিনায় পাঠানো এই বিয়ারে থাকছে লিওনেল মেসির বিশেষ এডিশন। বিশেষ মোড়কে মোড়া এই বিয়ারগুলিতে থাকছে লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ছবি। এর ফলে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উৎসবের রঙ যে আরও রঙিন হলো তা বলাই যায়। বুয়েন্স আয়ার্স, রোজারিও, কর্ডোবা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্টন করা হবে বিয়ার। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রিং হোম দ্যা বাড’।
এই বিয়ার পেতে গেলে অবশ্যই হতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে সংস্থার ওয়েবসাইটে। তারপরেই মিলবে বিয়ার। প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক সমর্থক প্রতিদিন বিনামূল্যে তিনটে করে ৪১০ মিলিলিটারের ক্যান পাবে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে আয়োজিত হচ্ছে ফ্যান ফেস্ট। যেখানে ফ্রি-তে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিয়ার বিলিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও কুপনের মাধ্যমেও দেওয়া হবে বিয়ার। বিশ্বজয়ের আনন্দে বিভোর অন্যান্য বিশ্বজয়ী দেশের সমর্থকরা আর্জেন্টাইনদের মতো এমন সৌভাগ্য বোধহয় আগে কখনও অর্জন করতে পারেনি।
উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, বিশ্বকাপ শুরুর পরেই স্টেডিয়ামে বসে বিয়ার পান করায় নিষেধাজ্ঞা দেয় কাতার প্রশাসন। এমনিতেই সে দেশে প্রকাশ্যে মদ্যপান দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে প্রথমে টুর্নামেন্টের জন্য বেশকিছু ছাড় দেওয়া হলেও পরে আবার তা তুলে নেওয়া হয়। এমনকি স্টেডিয়ামের বাইরে বাডওয়াইজারের কাটআউটগুলিও কম দৃশ্যমান এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই ক্ষতির মুখে পড়ে জার্মান সংস্থাটি। তবে সেই ক্ষতিপূরণ পূর্ণ করতে অভিনব উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি।