।। প্রথম কলকাতা ।।
সত্যিই রোমাঞ্চকর লড়াই! এই ম্যাচ যে টাইব্রেকারে যাবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি অতি বড় আর্জেন্টিনা ভক্তও। প্রতি পরতে পরতে উত্তেজনা। এটাই তো ফুটবল। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পড়েও সমতায় ফিরল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচ গেল টাইব্রেকারে। আর সেখানে ম্যাচের নায়ক বনে গেলেন এমলিয়ানো মার্টিনেজ। ডাচদের পরপর দুটি শট রুখে দিয়ে দলকে পৌঁছে দিলেন সেমিফাইনালে।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে শুরু থেকেই টক্কর হলো সমানে সমানে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সুবিধা করতে পারল না দুই দলই। নেদারল্যান্ডসের জমাট রক্ষণে বিশেষ সুবিধা করতে পারছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে তিনি যে ম্যাজিশিয়ান তা আরও একবার প্রমাণ করলেন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। ৩৫ মিনিটে মেসির জাদুতেই গোলের দেখা পেল আর্জেন্টিনা। মেসির দুর্দান্ত সাজানো পাস থেকে দলকে এগিয়ে দিলেন নাহুয়েল মোলিনা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ভাবে চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। সুযোগ গড়ে তুললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না মেসি-ডি পলরা। ৬২ মিনিটে মেসির দুরন্ত ফ্রি-কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান মেসি। আকুনাকে ফাউল করে বসেন ডামফ্রিস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০ গোল করে স্পর্শ করলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। ঠিক ১০ মিনিট পড়েই ব্যবধান কমায় নেদারল্যান্ডস। স্টিভেন বের্গহোইসের দুরন্ত ক্রস থেকে হেডে গোল করেন বেগহোর্স্ট।
এই গোলের পরেই যেন প্রাণ ফিরে পায় নেদারল্যান্ডস। সমতায় ফিরতে মরিয়া লড়াই চালায় ডাচবাহিনী। একের পর এক আক্রমণে অস্থির করে তোলে আর্জেন্টিনার রক্ষণকে। ১০ মিনিটের যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ডস। ফ্রি-কিক থেকে টিউন কুপমেইনার্স বল দেন বেগহোর্স্টকে। গোল করতে কোন ভুল করেননি বেগহোর্স্ট। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। দুই দলই সুযোগ গড়ে তুললেও গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট আদায় করে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।