।। প্রথম কলকাতা ।।
Amitabh Bachchan Jaya Bachchan: কী সেই গোপন রহস্য? যার সাহায্যে পঞ্চাশটা বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেললেন অমিতাভ জয়া। দাম্পত্য জীবনের হাফ সেঞ্চুরি। তাও আবার বলিউডে। সহজ কথা নয়। রেখাকে নিয়ে গসিপই পারতো সম্পর্কে ভেঙে খান খান করে দিতে পারেনি। শুধু একটি মাত্র কারণে। কি সেই কারণ?
যত দিন গড়িয়েছে ততই যেন গাঢ় হয়েছে তাদের প্রেমের রঙ। গুড্ডি ছবি মুক্তির সময় থেকে প্রেমের শুরু।১৯৭৩ সালে আজকের দিনেই অর্থাৎ ৩ জুন দুই তারকার চার হাত এক হয়েছিল। বলিউডের শাহেনশা ও জয়ার দাম্পত্য জীবন বরাবরই গোটা দেশের চর্চায় থেকেছে বরাবর। বাবা-মায়ের ৫০’তম বিবাহবার্ষিকীর দিন মেয়ে শ্বেতা বচ্চন শেয়ার করলেন এক পুরনো সাদা-কালো ছবি। তাঁদের এই অদেখা ছবি পোস্ট করলেন শ্বেতা। একই সঙ্গে জানালেন একসঙ্গে এই দীর্ঘ পথ চলার নেপথ্যের কারণ। বাবা মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘হ্যাপি ৫০ বাবা মা।তোমরা এখন থেকে গোল্ডেন হলে।’
এই দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের আসল রহস্য কি?
বলিউডের বিগ বি এবং তাঁর সহধর্মিণীর এই দীর্ঘ বিবাহ জীবনের নেপথ্যে আছে কোন কারণ তা খোলসা করেছেন শ্বেতা। তিনি বলেছেন, ‘আমি একবার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এতদিন বিয়ে টিকিয়ে রাখার গোপন রহস্য কী? উত্তরে মা বলেছিল, ভালোবাসা। আর বাবা? তাঁর উত্তর ছিল, জয়া যা বলে তাই ঠিক। এটাই বিয়ে টিকিয়ে রাখার মূল মন্ত্র।’ সেই মন্ত্রই একে অপরকে বেঁধে রেখেছে অদৃশ্য বন্ধনে।
শ্বেতার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একে অন্যের চোখে ডুবে রয়েছেন অমিতাভ এবং জয়া। জয়ার পরনে একটি শাড়ি। অমিতাভ সেই পুরনো দিনের স্টাইলে ঢোলা প্যান্ট এবং প্রিন্টেড শার্ট পরে আছেন। এই সাদা কালো ছবিতে তাঁদের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। কেবল অফস্ক্রিন নয়, বিগ বি আর জয়ার অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রিও সবার ভীষণ পছন্দের ছিল। তাঁরা একসঙ্গে বহু ছবি করেছেন।সিলসিলা, অভিমান, মিলি সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন অমিতাভ ও জয়া বচ্চন।
জীবনে উত্থান পতন এসেছে। সুখে দুখে দীর্ঘদিন একে অপরের পাশে থেকেছেন এই তারকা দম্পতি। রেখার সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। অনেকেই বলেন দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন রেখা ও অমিতাভ।বর্তমানে অমিতাভ কাটাচ্ছেন সুখের সংসার। তারই মাঝে বিবাহিত জীবনের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করলেন তাঁরা। তাঁদের সুখের জীবন আরও অনেক দীর্ঘ হোক, এমনটাই কামনা অনুরাগীদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম