Adventure Of Sundarban: ১৫টি পেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ছবি নিয়ে কী বললেন পরিচালক?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Adventure Of Sundarban: ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়া থেকে মুক্তির মাঝে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তন এসেছে নায়ক-নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনে। দু’বছর মুখের কথা নয়। ছবির প্রচারে ছেলেকে সঙ্গী করেছেন পরীমণি। কারণ পাঁচ মাসের একরত্তিকে কোনোভাবেই ঘরে একা রাখা সম্ভব না। যখন অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর (Adventure Of Sundarban) প্রচারণায় ঢাকার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে ছুটছেন নায়িকা, তখন সন্তান থাকছে সহকারীর সঙ্গে গাড়িতে। ছবিও যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই সন্তান। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে এটাই ছিল পরীমণির (Pori Moni) রুটিন। কিন্তু ছবি মুক্তির পর যদি দর্শক মহলে সাড়া ফেলতে পারে, তাহলে এই গত কয়েক সপ্তাহের প্রচার কাজে দিয়েছে বলে মনে হবে। আজ, ২০ জানুয়ারি শুক্রবার, ১৫টি পেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’।

ছবিটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের (Muhammad Zafar Iqbal) উপন্যাস ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ (Ratuler Raat, Ratuler Din) অবলম্বনে বানিয়েছেন আবু রায়হান জুয়েল (Raihan Jewel)। বড় পর্দায় এটাই তাঁর প্রথম কাজ। পরীমণির বিপরীতে ছবিতে রয়েছেন সিয়াম (Siam Ahmed) ও তানভীর। গেল কয়েক মাসে পরীমণির তেমন কোনও ছবি রিলিজ করেনি। তাই এই ছবি রিলিজ তাঁর দর্শকদের জন্য খুব ভালো খবর। এদিকে সিয়ামের মুক্তি পেয়েছে ‘শান’ ও ‘দামাল’। তানভীরের সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘রাতজাগা ফুল’। পরীমণির সঙ্গে এটা তাঁর প্রথম কাজ। ছবিটি রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরপুর। ভিন্নভাবে এই ছবিতে সুন্দরবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছবিতে সুন্দরবনের নৌবিহারে গিয়ে এক দল শিশু ডাকাতের কবলে পড়ে। তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয় কীভাবে তাই নিয়েই গল্প। ২০২০-র মার্চের প্রথমে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে হয়েছিল এই ছবির মহরত। ওই মাসের ১৫ তারিখ শুরু হয়ে যায় শ্যুটিং। ‘প্রথম আলো’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম লটের শ্যুটিং শেষ হয়েছে ৭ এপ্রিল। এর পর ওই একই বছরের অক্টোবরে ছবির পুরো শ্যুটিং শেষ করেন পরিচালক। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিচালক জানিয়েছেন, সুন্দরবনে শ্যুটিং করাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ সেখানে বাঘের ভয় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জোয়ার-ভাটার ধকল। সেইসঙ্গে এত বড় ইউনিট নিয়ে লঞ্চে অনেক দিন কাটানো ছিল কঠিন। আবার শ্যুটিংয়ের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়ে যায় করোনা। আটকে পড়ে সিনেমার কাজ। যদিও সহযোগিতা পেয়েছেন ছবিতে অভিনয় করা শিশুদের মা-বাবাদের কাছ থেকে। ছবিতে পরীমণির চরিত্রের নাম ‘তৃষা’। তাঁর কথায়, অভিনয় জীবনে এটি আমার নতুন অভিজ্ঞতা। লঞ্চ-নদীতে সিনেমার শ্যুটিং করেছি। কাজটি কষ্টসাধ্য ছিল। দর্শক সিনেমা দেখলেই সমস্ত কষ্ট সার্থক হবে। এই সিনেমা সকল প্রজন্মের জন্যই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version