Aaradhya Bachchan: প্রতিবন্ধী থেকে হেয়ার স্টাইল সব নিয়েই কটাক্ষ, অভিনয়ের মাধ্যমে আরাধ্যা দিল যোগ্য জবাব

।। প্রথম কলকাতা ।।

Aaradhya Bachchan: এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ঐশ্বর্য মেয়ের অভিনয়ের ভিডিও। অথচ এই আরাধ্যাকে নিয়েই কথ মানুষের কত কথা, কত কটাক্ষ। কেবল তারকাদেরই নয় তাদের সন্তানদের ছেড়ে কথা বলে না নেট দুনিয়া। অনেকেই এটটা সময় বলেছিলেন আরাধ্যা দুহাত ধরে হাটে কেন ঐশ্বর্য ? আরাধ্যার যখন ৮ বছর বয়স কারিনার ছেলে তৈমুরুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন তৈমুর যদি দেড় বছর বয়সে হাঁটতে পারে ঐশ্বর্যর মেয়ে আট বছর বয়স হয়ে গেল হাঁটতে কেন? কেন তার সাহায্য লাগে? ক্যামেরার সামনেও খুব একটা ছোট থেকে আসতে চাইত না আরাধ্যা। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর তাকে ক্যামেরার সামনে সাবলীল করতে পেরেছেন ঐশ্বর্য। নিয়মিত ট্রোলের শিকার হতে হয় বচ্চন পরিবারের এই খুদে কে।

অনেক ক্ষেত্রে আরাধ্যার ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছে মা মেয়েকে। জন্ম থেকেই আরাধ্যার একই চুলের ছাট কেন? সে তো কচি বাচ্চা নয় এ ধরনের মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়নি নেট দুনিয়ায়। নেট নাগরিকদের একাংশ বলেছিলেন মেয়েকে ভালো একটা চুলের ছাড় দেওয়া যেতে পারে না ঐশ্বর্য? কেউ আবার বলেছিলেন মা সারাক্ষণ মেয়েকে চেপে ধরে রাখে।আরাধ্যাকে তার পছন্দ মতো চুল কাটতেই দেন না। ২০১১ সালে ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের ঘর ভালো করে আসে ছোট্ট ফুট ফুটে কন্যা আরাধ্যা। মাত্র ১২ বছর বয়সেই আরাধ্যা যা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে অনেকের বহু বছর লেগে যায়।

মা ঐশ্বর্যের সঙ্গে সব সময় দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। কাজ ছাড়া সব সময় নিজের মেয়েকে আগলে রাখেন ঐশ্বর্য। নিজের মতো করে মেয়েকে গড়ে তুলতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। তার জন্য কম কথা শুনতে হয়নি অভিনেত্রীকে। মেয়ে এবং মায়ের ছবি দেখলেই অনেকে লিখতেন এত ন্যাকামোর কি কারণ বুঝি না। দেখলেই অসহ্য লাগে। আরাধ্যার মধ্যে নাকি আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। মা স্টার কিডদের মধ্যে সাধারণত হয় না। তবে আরাধ্যার নম্র ভদ্র বিনয়ী মনোভাব পার বার বার মন জয় করে নিয়েছে সকলের।

নিজের স্কুলের প্রোগ্রামে অভিনয় করে সব ট্রোলের জবাব দিয়ে দিয়েছে যেন আরাধ্যা। নিজের স্কুলের নাটক মঞ্চস্থ করে তাক লাগিয়ে দেয় আরাধ্যা। নেট পাড়ায় সেই ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তেই বিগ বির নাতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।কেউ কেউ আবার বিশ্ব সুন্দরী মায়ের সঙ্গেও আরাধার তুলনা টানছেন। আবার নাতনি আরাধ্যার জন্য কলম ধরলেন দাদু। অমিতাভ বচ্চন ব্লগে লেখেন আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটা মুহূর্ত। মঞ্চে যেভাবে অভিনয় করল আমাদের পরিবারের এই ছোট্ট সদস্য তা সত্যি ওর সহজ জাত প্রতিভা।

যে মেয়ে সবসময় মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে এয়ারপোর্টে যেত সেই মেয়েকে মঞ্চে দেখে অবাক নেট পাড়া। যেমন সুন্দরী তাকে দেখতে লাগছে ঠিক সেরকমই সে তার দক্ষতার পরিচয় দেয়। সন্তানের জীবন ভবিষ্যৎ সাফল্য নিয়ে সবসময় মা চিন্তা করেন। মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে আরাধ্যা। মেয়ের স্কুলের হোমওয়ার্ক থেকে শুরু করে তার দেখাশোনা সবটা নিজেই করেন ঐশ্বর্য। এ ব্যাপারে কারোর উপর নির্ভরশীল নন রায় সুন্দরী। অভিষেকের চোখেও পৃথিবীর সেরা মা ঐশ্বর্য। সব বাচ্চারা তো সমান হয় না। তাদের কথা বলা বেড়ে ওঠা চলাচলন কখনই এক হতে পারে না। ঐশ্বর্যর মেয়ে বলে জন্ম থেকেই একবারে স্মার্ট হতে হবে তেমনটা তো কথা নয়। সময় যখন এল তখন কিন্তু আর আরাধ্যা নিজের পরিচয়টা খুব ভালোভাবেই গোটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরলো।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version