।। প্রথম কলকাতা ।।
JAGANNATH MANDIR IN KOLKATA: কলকাতার এই মন্দিরেই বাস করেন পুরীর জগন্নাথদেব।তিনি জগথের নাথ, আপনার সময় ভালো যাচ্ছে না? মন্দিরের এখানে প্রদীপ জ্বালালে বিপদ কেটে যাবে। পুরী যারা যেতে পারছেন না এখানে পুজো দিলেই হবে ইচ্ছে পূরণ। ১৯৪৫ সালের কোন ইতিহাস আজও অজানা! কলকাতার কোথায় রয়েছে জগন্নাথ মন্দির ?
দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুর। অনেকেই জানেন না এখানে রয়েছেন শ্রীক্ষেত্রের জগন্নাথদেব। কেন পুরীর কথা বলছি? পুরীর আদলে তৈরি এই জগন্নাথ মন্দির। ওড়িশার যে পাথর দিয়ে জগন্নাথধাম গড়ে উঠেছিল। সেই এক পাথর দিয়ে তৈরি খিদিরপুরের মন্দির। কলকাতার খিদিরপুর ট্রেন ডিপোর কাছেই এই যে চাকা দেখছেন সেটি পুরীর মন্দিরের রথের চাকা। এই মন্দিরেরও সিংহ দরজায় রয়েছে
অরুণা স্তম্ভ। এটি থেকে ১৮টি সিঁড়ি উপরে স্থাপিত হয়েছে গেরুদা স্তম্ভ। গেরুদা স্তম্ভের পরই মন্দিরের মূল দরজা। ঠিক যেমনটা রয়েছে পুরীতে। রথের সময় ওড়িশা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ যেন জগন্নাথদেবের দ্বিতীয় বাড়ি । আপনার এলাকার এতো কাছে জগন্নাথদেব রয়েছেন আগে জানতেন? সকালে তাড়াতাড়ি গেলে পাবেন প্রসাদ। বিকেলে মহাভোগ নিবেদন করা হয়।
https://www.facebook.com/100082942485331/posts/411249781649768/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
আগে ছোট মন্দির ছিল । এরপর ধীরে ধীরে নতুন মন্দির তৈরি। খিদিরপুরে কীভাবে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হল শুনে নিন সেবায়েত পণ্ডিতদের মুখেই । ক্লিক করুন লিংকে। শুধু জগন্নাথ দেব নন। শ্রী গণেশ, দেবী সরস্বতী, মহাবীর হনুমান থেকে মা লক্ষ্মী , মা বিমলাও রয়েছেন। বাড়ির এতো কাছে জগন্নাথ দর্শনে আসেন অনেক ভক্তরাই। চক্র রেল করে খিদিরপুর স্টেশনে চলে আসা। সেখান থেকে ৫-৭ মিনিট হেঁটে পৌঁছতে পারেন মন্দিরে। এছাড়া বাসে খিদিরপুর পৌঁছতে পারেন। কিন্তু একটু হাঁটতে হতে পারে। নিজের গাড়ি নিয়ে এলে আসতেই পারেন, পার্কিং রয়েছে মন্দির র সামনে রাস্তার উপরে। মন্দির খোলার সময় সকাল ৬ টা থেকে ১১ টা ও বিকেলে ৪ টে থেকে ৯ টা। মন্দিরে প্রবেশ করে আপনি মন ভরে জগন্নাথদেবের দর্শন করতে পারবেন, ইচ্ছে করলেই পুজো ও দিতে পারবেন। কোনো রকম পান্ডার প্রয়োজন পড়বে না। একেবারে মন ভরে জগন্নাথ দর্শন সেরে যান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম