।।প্রথম কলকাতা।।
Winter care eyes: শীতে অনেকেই চোখে ব্যথার কথা বলে থাকেন। আসলে এই সময় চোখের আদ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় চোখে ব্যথা হতে পারে। কারণ এই সময় ধুলোবালি ও শুষ্ক বাতাস বইতে থাকে। চোখকে শুষ্ক করে ফেলে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে চোখে আদ্রতা এবং তৈলাক্ততা কমে যায়। যা চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
শীতকালে সাধারণত চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু চুল, ত্বক ছাড়াও শীতে বিশেষ ভাবে চোখের যত্ন নেওয়া ভীষণ দরকারি। এবার জেনে নিন কিভাবে নেবেন চোখের যত্ন।
- প্রচুর পরিমাণে জল খান। তবে আপনি চাইলে তরল স্যুপ খেতে পারেন। ফলে চোখ সিক্ত থাকে।
- চশমা বা গগোলস ব্যবহার করুন। শীতকালে প্রধানত হাওয়া বইতে থাকলে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই চশমা দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন।
- ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছের তেল খেতে পারলে চোখের জন্য তা খুবই উপকারী। কারণ এর ফলে চোখে জলীয় পদার্থ তৈরি হয় বেশি করে এবং ড্রাই আই এর প্রবণতা কমে যায়।
- যদি আপনার ড্রাই আইয়ের সমস্যা থাকে তাহলে চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী।
- চোখ সব সময় পরিষ্কার রাখুন। চোখে ধুলো বালি জমতে দেবেন না। বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ল্যাপটপের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকেন? এতে চোখের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি। কুড়ি মিনিট অন্তর কুড়ি সেকেন্ডের জন্য কুড়ি ফিট দূরত্বের দিকে তাকান।
- কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে শুষ্ক চোখের সমস্যা বাড়তে পারে। তিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার বেশি চোখে কনট্যাক্ট লেন্স পড়ে থাকা উচিত নয়।
- স্বাস্থ্যের জন্য ঘরের মধ্যে এয়ার হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে ঘরের ভিতর আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
- ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলার ব্যাপারে সচেতন হোন। কারণ যখন আমরা কাজে মনোনিবেশ করি তখন সাধারণত স্ক্রিন টাইমে ব্লিংক রেট কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।
- ধূমপান শুষ্ক চোখের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। দীর্ঘস্থায়ী ধুমপায়ীদের শুষ্ক চোখের প্রবণতা বেশি থাকে।
চোখ হল শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল একটি অংশ। তাই শীতকালে চোখের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত বিষাক্ত পরিবেশের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত গ্যাস ধূলিকণা শুষ্ক বাতাসের মুখোমুখি হতে হয় চোখকে। আর এইসবের থেকে চোখকে রক্ষা করতে প্রয়োজন যত্ন।