।। প্রথম কলকাতা ।।
Shitol Sosthi: সরস্বতী পুজোর দিন বিকেল থেকে শুরু হয়ে যায় সবজি কাটা। সন্ধ্যেবেলা বিশেষ উপায়ে রান্না করা হয় গোটা সেদ্ধ (Gota Seddho)। কারণ তারপর তিনি থাকে শীতল ষষ্ঠী (Shitol Sosthi)। সন্তানের মায়েরা সেদিন কোন গরম খেতে পারেন না। সরস্বতী পুজোর পরের দিন মা শীতলার পুজো দিয়ে সন্তানের মঙ্গল কামনায় ঠান্ডা পান্তা ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় সেই গোটা সেদ্ধ। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই রয়েছে, আর প্রত্যেকটি উৎসবকে ঘিরে রয়েছে বিশেষ কিছু রীতিনীতি। তবে সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতল ষষ্ঠীতে সন্তানের মঙ্গল কামনায় প্রত্যেক মা পুজো দেন, পাশাপাশি অরন্ধন পালন করেন। অর্থাৎ এইদিন গরম কিছু খান না, ঠান্ডা খাবার এবং গোটা সিদ্ধ খেয়ে উপবাস ভাঙেন। মূলত সন্তানের মায়েরা এই ব্রত পালন করে থাকেন। তবে এই পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, সন্তানের মঙ্গল কামনায় সেগুলো বহু মানুষ মেনে চলেন।
- ষষ্ঠী মায়ের আরাধনা মূলত কোন জলাশোয়ের পাশে করবেন। যে পুরোহিত পুজো করবেন তাকে অবশ্যই মনে করে হাঁসের ডিম দান করবেন।
- পুজোর ভোগে রাখবেন শীতের নলেন গুড়ের মোয়া। পুজো শেষে সেই মোয়া বাচ্চার হাত দিয়ে জলে ভাসিয়ে যাবেন। অবশ্যই মনে করে পুজো শেষে প্রসাদ অন্যান্য বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করতে ভুলবেন না।
- গোটা সিদ্ধ মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে মোক্ষম একটি খাবার। কারণ সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই শুরু হয় বসন্ত ঋতু। স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেয় ইনফেকশন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পক্সের মত নানান রোগ। তাই শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে এই খাবার খাওয়া বিশেষ জরুরি। এই গোটা সিদ্ধ শুধু মায়েরা নন , সন্তানরাও খেতে পারে।
- এই দিন রান্নাঘরে অবশ্যই শিলনোড়াকে বিশ্রাম দিতে হয় অর্থাৎ শিলনোড়া ব্যবহার করবেন না, সবজি কাটা যায় এমন জিনিসও ছোঁবেন না। পুজোর সময় শিল নোড়ায় দইয়ের ফোঁটা দেবেন।
- পুজো না হওয়া পর্যন্ত সারা দিন উপবাস করবেন। পুজো শেষে ঠান্ডা খাবার খেয়ে সেই উপবাস ভঙ্গ করবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম