।। প্রথম কলকাতা ।।
Sandalwood Farming: চাকরি নয়, শুধুমাত্র একটা গাছ চাষ করেই আপনি হতে পারেন লাখপতি। একবার এই গাছ রোপণ করলে কয়েক বছর পর লাভের অঙ্ক গুনে শেষ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে প্রয়োজন একটু মোটা ইনভেস্টমেন্ট আর পরিশ্রমের। ধৈর্য ধরে কয়েক বছর এই গাছ পরিচর্যা করলেই কেল্লাফতে। মহামূল্যবান এই বিশেষ গাছটি হল চন্দন। বর্তমানে এর চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এই গাছটি একবার চাষ করতে পারলে দশ থেকে পনেরো বছরের জন্য একেবারে নিশ্চিত হতে পারবেন।
কীভাবে চিনবেন আসল চন্দন কাঠ ?
- বাজারে চন্দন কাঠ সহজলভ্য হলেও তার মধ্যে বেশির ভাগটাই থাকে নকল কাঠ। নকল কাঠগুলির উপর সুগন্ধের একটি প্রলেপ দেওয়া থাকে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় পেয়ারা গাছের কাঠ। ছুরি বা ব্লেড দিয়ে কাঠের গায়ে একটু আঁচড় কাটলেই বুঝতে পারবেন আসল নকলের পার্থক্য।
- সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, আসল চন্দন কাঠ হাতে নিলে শুধু আপনি নয় আপনার চারিপাশে পরিবেশক সুগন্ধে সুরভিত হয়ে উঠবে। এই কাঠ সাধারণত ভারী এবং হালকা খসখসে হয়।
কীভাবে চাষ করবেন এই গাছ ?
- চন্দন গাছের চারা রোপণ থেকে শুরু করে বিক্রি হওয়ার উপযুক্ত পর্যন্ত সময় লাগে ১২বছর। কারণ ছোট চন্দন গাছের তেমনভাবে কোন সুগন্ধ থাকে না। একটি ১২বছর বয়সের চন্দন গাছ থেকে কাঠ পাওয়া যায় প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি কেজি পর্যন্ত।
- চন্দন গাছের পাশাপাশি আপনাকে চাষ করতে হবে হোস্ট গাছের। বিশেষভাবে এটি চাষ করতে হবে, কারণ হোস্ট গাছটি নষ্ট হয়ে গেলে চন্দন গাছটিও নষ্ট হয়ে যায়।
- মাত্র কয়েকটি চারা কিনলে প্রচুর খরচ পড়ে তাই গাছ কেনার সময় অনেকগুলি চারা একসাথে কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলে মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে গাছের চারা পেয়ে যাবেন।
- হোস্ট গাছের ক্ষেত্রে চিরকালীন যে কোন গাছকেই নির্বাচন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হোস্ট গাছ এবং চন্দন গাছের মধ্যে দূরত্ব হবে দেড় থেকে দুই মিটার পর্যন্ত। বৃদ্ধি পাওয়ার পর প্রয়োজনমতো দুটো গাছকেই ছেঁটে দিতে হবে।
- গাছ বসাতে হবে মাঝারি বৃষ্টিপাত যুক্ত রৌদ্র অঞ্চলে, যেখানে ভালো জল নিকাশীর ব্যবস্থা থাকবে। বেলে মাটি বা লাল কাদামাটিতেও চন্দন গাছ হয়।
চন্দন কাঠের ব্যবহার
প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে ঠাকুর ঘর পর্যন্ত এক টুকরো চন্দনের গুরুত্ব কম নয়। বাজারে বিশেষ করে দশকর্মার দোকানে চন্দন অতি সহজলভ্য। কিন্তু সমস্যা হল আসল গুণমানের চন্দন পাওয়া খুব দুষ্কর। শ্বেত ও রক্ত চন্দন দুটোই ব্যবহার করা হয় প্রসাধনী ও ঔষধ শিল্পে। তেল, সাবান, পাউডার, ক্রিম, আতর, দাঁত মাজার পেস্ট সর্বত্রই চন্দনের রমরমা। এমনকি বাজারে চন্দন সুগন্ধির আলাদা কেমিক্যাল পাওয়া যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম