।। প্রথম কলকাতা ।।
Immunity Booster Drinks: বর্তমানে যে করোনা বারবার শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না তাকে নিয়ে মানুষের চিন্তার অন্ত নেই । চিকিৎসকরাও এখনও পর্যন্ত এই জীবাণুকে মূলে ধ্বংস করার মত ওষুধের হদিশ পাননি। বারবার শক্তি বাড়িয়ে বিভিন্ন রূপে ফিরে আসছে এই সংক্রমণ । কীভাবে তাকে আটকানো যাবে এই প্রশ্নের হয়তো স্পষ্ট কোন উত্তর নেই। কিন্তু সকল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন, শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) ক্রমশ শক্তিশালী হতে থাকে তাহলে যে কোন ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা খুব সহজ হয়ে যায়। তাই এখন মূল লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
শীতকাল (Winter) মানেই একাধিক জীবাণুর উপদ্রব শুরু হয়। কারণ তাঁরা এই শীতে অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র বর্তমানে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েট (Omicron Sub Variant) ভয় ধরাচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে এই উদ্দেশ্য না রেখে সকল প্রকার ক্ষতিকারক জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হবে এমন মনোভাব রাখতে হবে। আর তার জন্য নির্ভর করা উচিত ঘরোয়া উপকরণের উপরে। এমন অনেক ঘরোয়া পানীয় রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানানো যাবে সেই সকল পানীয় গুলি।
১.আদা চা (Ginger Tea) : শীতকালে ঠান্ডা লাগা একটি অতি সাধারণ বিষয়। আবার যারা ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই ঠান্ডা লাগার উপসর্গ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সামান্য ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দি কাশি হলেই গরম গরম আদা চা বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারেন। এটা একদিকে যেমন আপনার গলায় আরাম দেবে তেমন ভাইরাল অসুখ থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই পানীয়। আদা চা তৈরি করার জন্য জল, গোলমরিচ গুঁড়ো, আদা এবং মধু প্রয়োজন।
২. আদা আপেল সাইডার ভিনেগার (Ginger Apple Cider Vinegar) : ফুটন্ত জলের মধ্যে আদা মিশিয়ে তাকে কিছুক্ষণ ফোটাতে থাকুন। অন্য একটি পাত্রে ততক্ষণে লেবু , আদার রস এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এক চামচ করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটির সঙ্গে ফুটন্ত জল যোগ করে দিন। মিশিয়ে নিন কিছুটা গোলমরিচ গুঁড়ো। এই মিশ্রণটি আপনার শ্বাসনালীকে যে কোন জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে, এমনটা বলেন পুষ্টিবিদরাই।
৩. কাড়া (Kadha) : গরম জলের মধ্যে তুলসী পাতা, জোয়ান, গোলমরিচ, হলুদের মত উপকরণ গুলি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নেওয়ার পর সেটি ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। আর তারপর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন সেই পানীয়টি। যে সময় দেশে কোভিড সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছিল তখন এই কাড়া বহু মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এখনও পর্যন্ত সব বয়সী মানুষেরাই বিভিন্ন সংক্রমণ এড়িয়ে যেতে এই কাড়ার উপর ভরসা করতেই পছন্দ করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম