।। প্রথম কলকাতা ।।
Santiniketan: ইউনেস্কোর ওয়ার্ড হেরিটেজের তালিকায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। রাঙামাটির দেশের মুকুটে নতুন পালক। বিশ্বভারতী বাঁচাতে নিজের গয়না বিক্রি করেছিলেন মৃণালিনী দেবী বারবার এসেছে হাজার বাধা। বিশ্বভারতীকে নিয়ে কবিগুরুকে কতটা কঠিন লড়াই লড়তে হয়েছিল ? স্বীকৃতি পেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন।ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় এবার কবিগুরুর প্রাণের বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। রবিবার তা ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু। ১৯৫১ সালে এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শান্তিনিকেতন ছিল খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির কোলে ছাত্রছাত্রীদের মুক্তি। বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ-সহ পাঁচ জন ছাত্রকে নিয়ে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অর্থের অভাব বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিন্তু পিছিয়ে আসেননি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনকী স্ত্রী মৃণালিনী দেবী একে একে গয়না বিক্রি করে স্বামীকে টাকা দিয়েছিলেন। ১৯১৮ সালে রবীন্দ্রনাথ অকালে হারালেন তাঁর বড় মেয়ে মাধুরীলতাকে কবিগুরুর মনে যন্ত্রণার অন্ধকার থাকলেও সেবছরই বিদ্যুতের আলো এল শান্তিনিকেতনে।
🔴BREAKING!
New inscription on the @UNESCO #WorldHeritage List: Santiniketan, #India 🇮🇳. Congratulations! 👏👏
➡️ https://t.co/69Xvi4BtYv #45WHC pic.twitter.com/6RAVmNGXXq
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳 (@UNESCO) September 17, 2023
সাধারণত কোনও স্মৃতিস্তম্ভকে হেরিটেজ সম্মান দেওয়া হয়। বিশ্বে প্রথমবার কোনও চালু বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হল।শান্তিনিকেতনেও বদলের হাওয়া লেগেছে। তবুও এখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই আদর্শ, সেই ভাবধারা মেনে চলা হয় শান্তিনিকতেন। ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় যে নাম উঠতে পারে শান্তিনিকেতনের তা চলতি বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরের দিনই ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে সেই ঘোষণা করল ইউনেস্কো। শান্তিনিকেতন জুড়ে শির হাওয়া। আবেগে ভাসছেনপড়ুয়া, প্রাক্তনীরা ও বোলপুর শান্তিনিকেতনবাসী। ঢাকের তালে উৎসবের পরিবেশ।
এর আগে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন এবং সুন্দরবন ইউনেস্কোর এই হেরিটেজ তালিকায় উঠে এসেছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে দুর্গাপুজোকেও স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে নিল। ১৮৬৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবন মোহন সিংহের কাছ ষ থেকে দুটি ছাতিম গাছসহ ২০ একর জমি ইজারায় কিনেছিলেন। তিনি একটি অতিথিশালা তৈরি করেছিলেন এখানে। নাম রেখেছিল শান্তিনিকেতন। নিজে হাতে করে সেখান থেকে বিশ্বভারতী গড়ে তুলেছিলেন স্িবয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর আদর্শ এখনও বেঁচে আছে শান্তিনিকেতনের আনাচে কানাচে। তা প্রমাণ করল বিশ্বভারতী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম