।। প্রথম কলকাতা ।।
সম্প্রতি কাতার বিশ্বকাপ মাতাচ্ছেন লিওনেল মেসি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে পায়ের জাদুতে খাদের কিনারা তুলে এনেছেন দলকে। তাঁকে ঘিরেই স্বপ্নের জাল বুনেছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। এটাই যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। আর তাই সমর্থকদের স্বপ্নপূরণ করতে কাতারে পৌঁছেছেন তিনি। যে সোনালী বুট পরে মাঠে নামেন মেসি, জানেন সেই বুটের বিশেষত্ব। সম্প্রতি, তার সেই বুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। যে বুট নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে।
অ্যাডিডাসের তৈরি করা বুটটি অন্য সবার থেকে আলাদা। রয়েছে অভিনবত্ব। কাতারে বিশ্বকাপে মেসি যে বুটজোড়া পরে খেলছেন, সেটির পুরো নাম ‘দ্য অ্যাডিডাস এক্স মেসি ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপ স্পিডপোর্টাল’। বুটের এক পাশে রয়েছে অ্যাডিডাসের চিরাচড়িত তিনটি কালো স্ট্রাইপ লোগো এবং অন্যপাশে রয়েছে সাদা ও নীল স্ট্রাইপ। সম্ভবত এই সাদা ও নীল স্ট্রাইপ আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার রং মাথায় রেখেই রাখা হয়েছে।
বুটটির রঙ সোনালী। বিশ্বকাপের আগে এই বুট নিয়ে গুজব রটেছিল হয়তো মেসির এই নতুন বুটে সোনার প্রলেপ দেওয়া রয়েছে। তবে পরে জানা যায় তেমন কিছুই না। সোনালী রঙের বুটটি একমাত্র মেসির জন্যই বানানো হয়েছে। এর আগে ২০০৬ সালে ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদান সোনালী বুট পরে বিশ্ব মঞ্চে রঙ ছড়িয়েছেন। বুটের একদম পিছন দিকে রয়েছে মেসির জার্সি নম্বর। ডান দিকের বুটে লেখা রয়েছে থিয়াগো ০২ ১১ ১২ এবং মাতেয়ো ১১ ০৯ ১৫। অর্থাৎ এর থেকে বোঝা যায় মেসির বড় ছেলে থিয়াগো ও মেজোছেলে মাতেয়োর জন্মের তারিখ।
যে বাঁ পা মেসির মূল অস্ত্র। যে বাঁ পা দিয়ে করেছেন একাধিক গোল, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। সেই বাঁ পায়ের বুটেও রয়েছে বিশেষত্ব। এই বুটে লেখা রয়েছে ‘আন্তো’ অর্থাৎ স্ত্রী আন্তোনেলা রকুজোর নাম। সঙ্গে রয়েছে ছোট ছেলে সিরোর জন্মের তারিখ ১০ ৩ ২০১৮। কাতার বিশ্বকাপ হল প্রযুক্তির বিশ্বকাপ। আর সেই বিশ্বকাপে মেসির বুটে প্রযুক্তির ছোঁয়া থাকবে না তা কি হয়। রয়েছে চমকপ্রদ প্রযুক্তির ছোঁয়া। বুটের তলায় লাগানো রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টাড। মেসি দ্রুত গতিতে দৌরে দুই-তিনজন ডিফেন্ডারকে ডজ করে বিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে কোনও সমস্যা হবে না। পা আটকে যাবে না মাটির সঙ্গে। দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই বিশেষ ধরনের স্টাডগুলি। বলের সঙ্গে সংযোগ মসৃণ হবে পাশাপাশি শট নিতেও সুবিধা হবে।
প্রিয় তারকার নতুন বুট দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা। সবারই আশা, এই বুট মেসির পক্ষে পয়মন্ত হবে। কাতারে নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ এখনও স্পেশাল তাঁর কাছে। সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও জার্মানির বিরুদ্ধে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা। সেইবার সর্বোচ্চ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা।