।। প্রথম কলকাতা ।।
Viral Video: মুম্বইয়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে প্রেমে মজে বৃদ্ধ দম্পতি, মেরিন ড্রাইভ, কখনও অলি-গলিতে ব্যস্ত রাস্তায় হাত ধরে হেঁটে চলেছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে ‘রিমঝিম গিরে সাওয়ান, সুলগ সুলগ যায় মন’ ঠিক যেমনটা হয়েছিল মঞ্জিল ছবিতে। যেন বৃষ্টির মাঝেই বেরিয়ে পড়েছেন রিয়েল লাইফ অমিতাভ-মৌসুমী জুটি। হাতে হাত ধরে হাঁটতে দেখা গেল তাঁদের ভালবাসা এঁদের রোজকার বেঁচে থাকায়। তাই তো ৬০ বা ৭০ টা বসন্ত পার করার পরও প্রেম মরে না। রোজই যেন প্রেমদিবস কাটাচ্ছেন এঁরা। একটু অভিমান বা ইগোর লড়াইয়ে ডিভোর্স নয়। ৩০ বা ৪০ টা বছর একসাথে কাটিয়েও দীর্ঘদিনের দাম্পত্যে দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ভালোবাসা কীভাবে বেঁচে থাকে ? যেন আবারও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এই দম্পতিসোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁদের ভিডিও এখন ভাইরাল।
মঞ্জিল ছবির সেই বিখ্যাত গান। রিমঝিম গিরে সাওয়ান। বৃষ্টি পড়লে আপনি এখনও গুনগুনিয়ে উঠেন। আরডি বর্মনের সেই মাতাল করা সুর, সঙ্গে অমিতাভ বচ্চন এবং মৌসুমী চ্যাটার্জীর বৃষ্টি ভেজা প্রেম। সেই গানটির দৃশ্যই রিক্রিয়েট করলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি।শৈলেশ ইনামদার এবং তাঁর স্ত্রী বন্দনা একেবারে সেই জায়গাতেই নিজেদের ভিডিয়োটি শ্যুট করেছেন যেখানে আসল গানটির দৃশ্যগুলি ছিল। অমিতাভ-মৌসুমীর মতোই পোশাক পরে ষ সমুদ্রের ধার দিয়ে দৌড়চ্ছেন তাঁরা ঠিক যেন মঞ্জিলের সেই জুটি। সব মিলিয়ে যেন আস্ত এক লাভস্টোরি। বৃদ্ধ দম্পতির এই প্রেম দেখে আবেগে ভাসছেন নেটিজেনরা। আসলে দাম্পত্যে দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ভালবাসাটা বাঁচিয়ে রাখাই সব। লোকদেখানো সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট বা সেলফি তোলার দরকার নেই। প্রিয় মানুষটির সাথে সময় কাটান। ছোট ছোট ভালোলাগাগুলোকে গুরুত্ব দিন। সেটাই যেন এই দম্পতি আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন। বয়স হতে পারে, কিন্তু মনের বয়সকে বাড়তে দেননি শৈলেশ -বন্দনা।
কবি শঙ্খ ঘোষের লিখেছিলেন “হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয় সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়” কঠিন হলেও চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? একাকীত্বের মধ্যেও নিজেদের ভাল লাগাকে। মরে যেতে দেবেন না প্রতিদিনকার অভ্যেসে জড়িয়ে আছে ভালবাসা, প্রেম তাই কোনও ক্ষোভ মনের মধ্যে পুষে না রেখে এই সহজ সত্যিটাকেই আঁকড়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন ষাট পেরিয়েও ঠিক যেমনটা রয়েছেন মুম্বইয়ের এই দম্পতি ভাইরাল এই ভিডিও দেখে ভালবাসা শুভেচ্ছায় ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। বয়স বাড়লে প্রেম যে আরও ষ পরিণত হয় । ভালবাসা কখনও কম হয় না। বরং বয়সের সঙ্গে বাড়ে। দুটো মানুষকে একে অন্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলে। শৈলেশ -বন্দনার ভালোবাসায় আরও একবার মুগ্ধ হলেন নেটিজেনরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম