।। প্রথম কলকাতা।।
Abhishek Banerjee : শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ( Pashchim Medinipur) কেশপুর ব্লকের আনন্দপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল । সেই জনসভায় বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হতে চলেছে, এমনটাই আশা করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা । সেই আশা অবশ্য সত্যি হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee) ছিলেন এই দিনের প্রধান বক্তা । তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেশপুরের মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক বার্তা দেন দলের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জনসাধারণকে । এছাড়াও বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু স্পষ্ট কথা বলেন তিনি।
‘এরাই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের মুখ হতে চলেছে’
২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এমন আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ( Panchayat Election ) পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারের কাজে নেমে পড়েছে। এই মতো পরিস্থিতিতে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে টাকা দিয়ে বাড়ি নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এমন একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে বাংলার মানুষ মানেই চোর । বাংলার মানুষ মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। শুনলাম ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় দল কেশপুরে আসে আবাস যোজনার বিষয়ে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম শেখ হসিনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কথা । তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাঁর নামেও আবাস যোজনার বাড়ি এসেছিল । কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানকে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন বাড়ি নেবেন না”।
অভিষেকের কথায়, হসিনুদ্দিনকে বাড়ি তৈরি করার জন্য যে টাকা দেওয়া হতো তার থেকেও বেশি কিছু খরচ হতো ছোট বাড়ি তৈরি করতে গেলে। কাজেই তিনি তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিতে পারতেন না । সেই কারণে টাকা তিনি নেবেন না, এমনটাই জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘ এটাই বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি। এই হসিনুদ্দিন বাবুর মতো মানুষই আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের মুখ হতে চলেছে”। শেখ হসিনুদ্দিনকে ডেকে তাঁর বাড়ির ছবিও জনগণের উদ্দেশ্যে দেখান অভিষেক।
গ্রামবাসীদের পাট্টা দিতে ফোন সেচমন্ত্রীকে
সভাস্থলে যাওয়ার আগে রুট বদলে ছোটখাটো গ্রামের মধ্যে যাওয়া এবং সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার কাজ আগেও করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এইবারও তাকে একই কাজ করতে দেখা গেল। কেশপুরে জনসভায় যাওয়ার আগে তিনি পৌঁছে যান খড়গপুর ১ ব্লকের মাতকাতপুর গ্রামে। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের কথা সঙ্গে কথা বলে অভিষেক জানতে পারেন , যে জমিতে তাঁরা দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করছে সেই জমিটি সেচ দফতরের । কিন্তু তাদেরকে কোনো রকম পাট্টা দেওয়া হয়নি। এরপরই গ্রামবাসীদের সামনে দাঁড়িয়ে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন । আর তারপরে নিয়ম মেনে গ্রামবাসীদের পাট্টা দেওয়ার বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করার অনুরোধ করেন তিনি।
‘অদৃশ্য চোখ সকলের উপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে’
এদিনের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” কেশপুরে যারা রাজনীতি করেন তাঁরা জানেন কে বিজেপি, কে তৃণমূল, কে সিপিএম । কে মানুষের পাশে ছিলেন আর কে ছিলেন না । যারা ভাবছেন যে তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে ভোটের সময়য় এক কাজ করব আর ভোটের পরে আবার জামা পাল্টে তৃণমূল হয়ে চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করব এবং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছা তাই করব । সকলের উপরে একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি কিন্তু নজর রাখছি”। অর্থাৎ প্রত্যেকটি সংগঠনের ওপর তাঁর নজরদারি রয়েছে এবং তিনি নিজেকেই তৃণমূলের পাহারাদার হিসেবে ঘোষণা করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম