।। প্রথম কলকাতা ।।
Most Educated Man: যদি বলা হয়, পৃথিবীর সব থেকে শিক্ষিত ব্যক্তি কে? শিক্ষিত ব্যক্তি মানে তার ঝুলিতে থাকবে ডিগ্রি, গবেষণাপত্র সহ একাডেমিক সফলতার গল্প। এখানেই বারংবার চলে আসে একজন ভারতীয় নাম, যাকে মনে করা হয় পৃথিবীর সব থেকে শিক্ষিত ব্যক্তি বলে। ইনি শ্রীকান্ত জিচকার, তবে সম্প্রতি আর একটা নাম বেশ জোরালো হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখিও হচ্ছে। ইনি হলেন গ্রিস বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক নিকোলাওস। তিনি প্রায় ৭ জায়গায় অধ্যাপনা করেছেন। গবেষণা করেছেন ৫০টি বিষয়ের উপর। ডিগ্রি অর্জন করেছেন ১০টিরও বেশি।
ব্যবসায়িক কাজ কিংবা কর্মজীবনে, মন না দিয়ে কেন শুধুমাত্র শিক্ষার পিছনেই জীবনের এতগুলো বছর সঁপে দিয়েছেন নিকোলাওস? তিনি মনে করেন, একজন ব্যক্তির উপযুক্ত শিক্ষা তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি সমালোচনামূলক, গঠনমূলক, সৃজনশীল চিন্তা করতে শেখায়। গোটা বিশ্বের তথ্য ভাণ্ডারে দিনের পর দিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সংযোজন। নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে। যা বোঝার জন্য উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন। শুধু তিনিই নন, এ পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষেরই উপযুক্ত শিক্ষার দরকার। নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাবিকাঠি, সবকিছুতেই অগ্রগতির পথ দেখাবে শিক্ষা। মানুষ হিসেবেও নিকোলাওস অত্যন্ত সহৃদয় একজন ব্যক্তি। তিনি বহু দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকেন।
এবার আসা যাক তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে। যে তালিকায় রয়েছে বড় বড় ডিগ্রি। ইতিমধ্যেই তিনি লিখে ফেলেছেন দুটি চিকিৎসার বই। তাঁর ৫০টি গবেষণা করার বিষয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যানসার রোগ সংক্রান্ত। যা প্রকাশিত হয়েছে মেডিক্যাল জার্নালে। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম, রক্তের মাত্রার উপর ভিত্তি করে খাদ্য তালিকা তৈরি করা। চিকিৎসার বিষয়টিকে ভীষণ ভালোবাসেন। হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুল থেকে জেনেটিক্স, ক্যানসার, ইমিউনোলজি, জিনোমিকস, কোভিডের মতো নানান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। শুধু চিকিৎসাই নয়, তিনি ব্যবসায়িক বিষয়েও বেশ দক্ষ। এছাড়াও পড়াশোনা করেছেন বিজনেস অ্যান্ড মিনিস্ট্রেশন, জনস্বাস্থ্য, ফৌজদারি বিচার, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা, বুদ্ধিমত্তা সহ একাধিক বিষয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে তিনি আর একটা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে চলেছেন।
পৃথিবীর সব থেকে শিক্ষিত ব্যক্তি কে? এই নিয়ে বারংবার চর্চায় নিকোলওসের নাম চলে এলেও ভুললে চলবে না, পৃথিবীর এখনো সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছেন একজন ভারতীয়। যার কথা শুনলে প্রত্যেক ভারতীয়র গর্বের বুক ভরে ওঠে। পড়াশুনা করেছেন চিকিৎসা,বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসা, প্রশাসন, সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ইনি শ্রীকান্ত জিচকার। ঝুলিতে রয়েছে প্রায় কুড়িটি ডিগ্রি। যার মধ্যে ১১টি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী। এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্যই তাঁর নাম জায়গা পেয়েছে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে। শ্রীকান্ত জিচকার ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রায় ৪২ টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন। যার প্রত্যেকটিতে রেখে গিয়েছেন সফলতার ছাপ। একটা সময় তিনি ১৪ টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ৫২ হাজার বই। তাঁর জ্ঞান, বিজ্ঞান, রাজনীতির প্রতি যে কতটা দুরন্ত আকর্ষণ ছিল তার প্রমাণ সংরক্ষণ করে রেখেছে এই বইগুলো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম