।। প্রথম কলকাতা ।।
Gangasagar Mela: ২০২৩ সালে পুণ্যস্নানের জন্য সম্পূর্ণ ২৪ ঘন্টা সময় রয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে শুরু করে রবিবার বিকেল পর্যন্ত। গতকাল থেকেই গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় চোখে পড়েছিল। আর শনিবার ভোর রাত থেকেই মকর সংক্রান্তির এই লগ্নে কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে করজোরে ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রার্থনারত পুণ্যার্থীদের ছবি চোখে পড়ে। গঙ্গাসাগর বর্তমানে মিনি ভারত , কারণ সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ মোক্ষ লাভের আশায় এসে পৌঁছেছেন
কেউ কেউ গঙ্গাসাগরে স্নান করার জন্য তৈরি হচ্ছেন আবার কেউ কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। জানা গিয়েছে এই ভিড় ক্রমশ বেড়ে চলেছে গতকাল থেকে। গঙ্গাসাগরের মেলায় যাতে কোনরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যের একগুচ্ছ মন্ত্রী। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন সহ অনেকেই । তাঁরা জানিয়েছিলেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হয়েছেন প্রায় ৩৯ লক্ষ পুণ্যার্থী। যেহেতু দু বছর ধরে করোনার কারণে গঙ্গাসাগরের চিত্রটা এমন ছিল না তাই এই বছরে উপচে পড়া ভিড় আশা করছে রাজ্য প্রশাসন। আজ সেই ভিড় আরও কয়েক লক্ষ বাড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা।
বাড়িতে বসেই মঙ্গলারতি দর্শন
কথায় বলে ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’। তাই ইচ্ছে থাকলেই যে গঙ্গাসাগরে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন এমনটা নয়। অনেকেই হয়তো এই বছরেও নিজের মনস্কামনা পূর্ণ করতে পারেননি। যেতে পারেননি সাগর সঙ্গমে । কিন্তু মন খারাপ করার প্রয়োজন নেই। কারণ রাজ্য সরকার বর্তমানে গঙ্গাসাগরকে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । সশরীরে পুণ্যার্থীরা সাগরে উপস্থিত থেকে মঙ্গল আরতি (Mangal Aarti) যদি নাও দেখতে পান তাঁরা চাইলেই বাড়িতে বসে সেটি দেখতে পারেন। কারণ এই মঙ্গল আরতি দেখার সুযোগ বর্তমানে রয়েছে গঙ্গাসাগরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট Gangasagar.in এ।
এই ওয়েবসাইটটিতে গ্যালারি সেকশনে গঙ্গাসাগরের আরতি সংক্রান্ত আরও একটি সাব-সেকশন রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই একাধিক মঙ্গল আরতির ইউটিউব লিংক ( YouTube Link) ভেসে উঠবে। যা দেখে অন্ততপক্ষে মনকে শান্তি দিতে পারবেন ভক্তরা। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে বসেই গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল এবং কপিল মুনির আশ্রমের প্রসাদ পেয়ে যাওয়া সম্ভব। সব মিলিয়ে পুণ্যার্থীদের সমাগমে চলতি বছরের গঙ্গাসাগরের মেলা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম