।। প্রথম কলকাতা ।।
Viral Juli: এও সম্ভব! দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অসাড় পা নিয়েই। সবাইকে অবাক করছেন এই শিল্পী। হাঁটুর নীচ থেকে অসাড় দুই পা। সেই মেয়েটি নাচছেন প্রাণ খুলে! এই অসহায় এঘর ওঘর করাটাই তো ভীষণ কঠিন ব্যাপার। সেই জায়গায় তার নাচ দেখে চোখ কপালে তুলছেন সকলেই। করছেন কুর্নিশ। মনে অদম্য ইচ্ছা থাকলে হাজারো প্রতিবন্ধকতা নিয়েও যে পাহাড় ডিঙানো যায় তার উদাহরণ এই মেয়েটি। অনেকের কাছেই আজ অনুপ্রেরণার আর এক নাম জুলি।
ওড়িশার মেয়ে জুলি। ছোট বেলা থেকেই তাকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলে দিয়েছে পোলিও। হাঁটুর নীচ থেকে অসাড় দুই পা। সেই পায়ের ওপর ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ানো হবে না কোনও দিনই। সে পোলিও আক্রান্ত জানার পরই ঘুম ছুটেছিল পরিবারের। কি করে হাঁটবে এই মেয়ে! কিভাবে কাটবে তার জীবন! ভেবে কুল কিনারা পাননি তাঁরা। সেই মেয়েই এখন শাসন করছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল তার একের পর এক নাচ। লক্ষ লক্ষ মানুষ তার নাচের ভিডিওর অপেক্ষায় থাকে। জুলি অর্থ উপার্জন করছে সেখান থেকেই।
আপনারা তো দেখছেন, অনেক বাবা মা ই মেয়েকে নাচ শেখাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেন না। মোটা টাকা খরচ করে মেয়েকে নামী শিল্পীর কাছে নাচ শেখাতে পাঠান তাঁরা।অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় না। সেখানে জুলি মঞ্চ মাতাচ্ছেন দু-হাঁটুর ওপর ভর রেখেই। কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই তার নাচের ছন্দে। সম্প্রতি তাঁর এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সবুজে ঘেরা পরিবেশে কালো পোশাকে নাচছেন জুলি। নাচছেন হাঁটুর ওপর গোটা শরীর রেখে।
https://www.facebook.com/reel/727052459642248
এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাচ্ছেন অনায়াসে। যেন উড়ে বেড়াচ্ছেন প্রজাপতির মতো। নাচ ভীষণ ভালোবাসে জুলি। তেমনই তার গানের গলা। পা দুটো নেই বললেই চলে।হাঁটুর ওপর ভর করেই জুলি মনের আনন্দে নাচে। যা ছিল তার কাছে প্রায় অসম্ভব। সেই নাচ নিয়েই জীবনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে সে। সেই স্বপ্নপূরণের পথে প্রতি পদে এসেছিল হাজারও বাধা। বার বার পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়েছে সে। পোলিও তার পায়ের জোর কেড়ে নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু মনের জোর কমাতে পারেনি এতোটুকু।
পঙ্গু পা নিয়েই জীবন যুদ্ধে একের পর এক ধাপ জয়ী হয়েছে সে। হাঁটুর ওপর ভর করেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাচ্ছে সে। এসেছে সাফল্য। আজ আর কোনও কষ্টই দমাতে পারে না তাকে। আসলে কষ্ট সহ্য করতে করতে তা অভ্যাস হয়ে গেছে জুলির। মেনে নিয়েছেন দুটো পা ছাড়াই তাকে জীবন চালিয়ে যেতে হবে। ওড়িশার এই মেয়ে সত্যিই অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। আসলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত জুলির কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন সানন্দ্যে। এভাবেই এগিয়ে চলুন জুলি। শুভেচ্ছা রইল প্রথম বাংলার পক্ষ থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম