।। প্রথম কলকাতা ।।
SmokeMon: সারাদিন কাজের ফাঁকে, শত ব্যস্ততার মাঝেও কোনো না কোনোভাবে ঠিক হাতে উঠে আসছে একটা সিগারেট (Cigarette)। এইভাবে একটা- দুটো করে দিনে বেশ কয়েকটা সিগারেটেই টান পড়ছে। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে প্রবীণরা পর্যন্ত সিগারেটের নেশা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। শরীরের পক্ষে এই ধোঁয়া কতটা ক্ষতি করছে তার কিছুটা জানা থাকলেও সিগারেটে ঠোঁট না ছোঁয়ালে যেন কোনোভাবেই স্বস্তি মেলে না। ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’ এই সংক্রান্ত বহু প্রচার বহু বছর ধরে করা হচ্ছে । তাতেও যে বিশেষ লাভ হয়েছে এমনটা নয়।
অনেকেই ভাবছেন, এই শেষ । কাল থেকে কমিয়ে ফেলবেন সারাদিনে সিগারেট খাওয়ার সংখ্যা । কিন্তু তেমনটা হচ্ছে কই ? ছাড়বো ছাড়বো করেও মুখ ঘোরাতে পারছেন না সিগারেট থেকে। সাধারণত সুখটানে স্বস্তি খুঁজে বেড়ানো মানুষ সিগারেট সম্পর্কে যতটা জানেন তার থেকেও বেশি শরীরকে বিষিয়ে দিতে পারে এই পদার্থটি । আপনি নিজে তাঁর হিসাব না রাখতে পারলে সেই কাজ এবার করে দেবে একটা নেকলেস । আপনাকে শুধু পরিধান করতে হবে গলায়। এমনই বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য এবং গুণাগুণ নিয়ে বাজারে আসতে চলেছে ‘স্মোকমন’ নেকলেস (SmokeMon Necklace)।
সম্প্রতি আমেরিকার নর্থওয়েন্টার্ন মেডিসিন রিসার্চের গবেষকরা এই স্মোকমন নামক নেকলেসটি বানিয়েছেন। তাদের কথায়, এই নেকলেস অবশ্যই আর পাঁচটা সাধারণ নেকলেসের মতো নয়। একজন ধূমপায়ী (Smoker) সারাদিনে কটা সিগারেট টানছেন এবং সেই সিগারেটের ধোঁয়া একদিনে তাঁর শরীরে কতটা ক্ষতি করছে সেই সমস্ত তথ্য দেবে নেকলেসটি। অবশ্যই ধূমপায়ী এই নেকলেসটি পরে অস্বস্তি বোধ করবেন না । কারণ বাইরে থেকে দেখে বোঝার ক্ষমতা নেই যে এটা স্মোক কাউন্টিং ধরণের একটি যন্ত্র।
প্রতিদিনের রিপোর্ট যদি ধূমপায়ীরা দেখতে থাকেন তাহলেই বুঝতে পারবেন এক একটা সিগারেট তাদের শরীরে কী পরিমাণ ক্ষতি করছে। খানিকটা স্মোকিং অ্যালার্ম (Smoking Alarm) হিসেবে কাজ করবে এই নেকলেসটি । এতে হয়তো ধূমপায়ীরা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরেকটু বেশি সচেতন হবেন । চেষ্টা করবেন সিগারেট থেকে দূরত্ব বজায় রাখার। এই ধূমপানের বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা করার পর এমন বহু রিপোর্ট সামনে এসেছে যেগুলি মানুষকে চমকে দিতে পারে ।
সিগারেটের ধোঁয়া আপনার শরীরে ঢোকার পর ঠিক কী কী হচ্ছে ?
সিগারেটের উপাদানগুলির মধ্যে থাকে আর্সেনিক, অ্যামোনিয়া, অ্যাসিটোন, কীটনাশক ডিডিটি ,ক্যাডমিয়াম, নিকোটিন সহ আরও বহু রকমের পদার্থ। এই গুলির মধ্যে কোনোটা হয়তো নেলপলিশ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কোনটা ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়। আবার কোনটা টয়লেট ক্লিনার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কাজেই বুঝতে পারছেন এই সমস্ত উপাদানগুলি আপনার শরীরে ধোঁয়ার মাধ্যমে ঢুকে সৃষ্টি করছে ফুসফুসের রোগ। অতিরিক্ত ধূমপানে (Smoking) পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে রোগীর রক্তবাহী ধমনীতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, আর সেটি জমে রক্ত চলাচল কমে আসে।
জানলে হয়তো অবাক হবেন, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই হলেন ধূমপায়ী। এমনিতেই বর্তমান সময়ে নানান ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। অধিকাংশ মানুষই অল্পতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । নিত্যনতুন কোন না কোন ভাইরাসের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। সেই রকম পরিস্থিতিতে বিপদ না ডেকে আনাই শ্রেয়। তাই নিজের হাতে নিজের শরীরের ক্ষতি না করতে চাইলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিন । ব্যবহার করতে পারেন স্মোকমন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম