।। প্রথম কলকাতা ।।
Iran: ইরান কী গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে? কী পরিমাণ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ফেলেছে দেশটা? তেহরানকে আটকানো সহজ কথা নয়, পশ্চিমা বিশ্বের হার্টবিট বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটা ভুলে আগ্রাসী হয়ে উঠছে দেশটা। ১২ দিনেই পরমাণু শক্তির কাতারে নাম লেখাবে ইরান? চুক্তিতে নেই, তোয়াজ করতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। একবার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেললে আর কাউকে ভয় করবে না ইরান।
বিভিন্ন সময়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অলরেডি ইরান ৮৪ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ফেলেছে। আর পারমাণবিক বোমা বানাতে প্রয়োজন ৯০% ইউরেনিয়াম। ইরান নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এত পরিমান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের তরফে। আসলে আজ নয়, বহুদিন ধরেই পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে বিভিন্ন রকম গবেষণা চালিয়ে আসছে ইরান। যদিও ইরান দাবি করে, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ অন্যান্য শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্যই তাদের এই কর্মসূচী। কিন্তু তা মানতে নারাজ পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র বলছে কর্মসূচীর আড়ালে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। শুধু বলেই ক্ষান্ত হয়নি, এইজন্য তাঁরা গত কয়েক দশক ধরে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত করেছে দেশটাকে। তারপরেও এটা তো মানতে হবে ১০ থেকে ১৫ বছর আগের ইরানের সঙ্গে বর্তমান ইরানের মধ্যে পার্থক্য অনেক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার সামরিক শিল্পী যে পরিমাণ উন্নতি সাধন করেছে তাতে রীতিমতো চমকে গেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলো। ভয় শিটিয়ে যাচ্ছে শত্রুরা। কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে রিস্কে ফেলে দিতে পারে যখন তখন। আর মূলত ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার টার্গেটকেই ভয় পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এমনকি জার্মানিও। যুক্তরাষ্ট্রই সম্প্রতি দাবি করেছে, পরমাণু অস্ত্র বানাতে ইরানের ১২ দিন সময় লাগবে। অতএব লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে গেছে ইরান। কারণ, এই মুহূর্তে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন পরমাণু চুক্তিতেও আবদ্ধ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে চুক্তি হলেও, দু বছর যেতে না যেতেই তা থেকে একতরফাভাবে সরে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালের শুরুর দিকে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা করে ইরান। ইরানের ওপর আসতে থাকে ওয়াশিংটনের একের পর এক স্যাংশন। ইরানও তার পরমাণু কর্মসূচি নতুন করে শুরু করে। এতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ২০২০ সালে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ওই চুক্তি নিয়ে আবারও উৎসাহ দেখায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলো ফের আলোচনা শুরু করে।
২০২২ এর আগস্টে একটি চূড়ান্ত খসড়া চুক্তি তৈরি হয়। তবে এখন পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। আলোচনাও স্থগিত হয়ে আছে। আর, ঠিক এই পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির চিন্তায় ভেতরে ভেতরে প্রাণ শোকাচ্ছে পশ্চিমাদের। পশ্চিমারা আবার বলছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে। দিনদিন পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। তবে এই সংক্রান্ত মার্কিন গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক রিপোর্ট কিন্তু অন্য কথা বলছে। ইরান কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। তারা পরমাণু সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, যার ফলে তেহরানের পক্ষে পরমাণু অস্ত্র তৈরি আরও সহজ হবে বলে রিপোর্টে মেনশন করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম