।। প্রথম কলকাতা ।।
ইজরায়েলের নেতানইয়াহুর বিদায়ঘন্টা বাজতে চলেছে? বড় গাফিলতি করে ফেলেছেন তিনি? ইতিহাস স্বাক্ষী সত্যিটা চাপা দিতেই কি যুদ্ধের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন ইজরায়েলের পিএম? মিস্টার সিকিউরিটি কেরিয়ার অগ্নিপরীক্ষার মুখে। দুর্নীতি, বিশ্বাসভঙ্গ, লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেওয়া একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি রাজনীতিতে রাজার মতো জনপ্রিয়তা নেতানিয়াহুর। কিন্তু ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধই কি এই জনপ্রিয়তা বিদায়ের ঘন্টা হতে পারে? ইজরায়েলের সিকিউরিটি নিয়ে যে নেতানইয়াহু বুক চাপড়াতেন বিশ্বের সামনে হামাসের একটা হামলায় তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কত বড় গাফিলতি ছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের? আসল সত্যি কি কখনও বেরিয়ে আসবে? কেন মোসাদের ইনটেলিজেন্স ফেল করল?
ইজরায়েলের ভিতরে এখন উঠছে মারাত্মক সব প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নেতানিয়াহুর একটা ডাকনাম আছে—‘মিস্টার সিকিউরিটি’ এতদিন সেই নাম তিনি উপভোগ করে আসছিলেন, তবে এটাই এখন প্রশ্নের মুখে তাহলে কি এটাই সেই সময় যখন এত বড় ব্যর্থতার জেরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিদায়ঘণ্টা বাজতে পারে? অন্তত ইসরায়েলি ইতিহাস এ কথাই বলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এই বিষয়টাই। এবার নেতানইয়াহুর পদত্যাগের ডাক উঠবে? প্রস্তুত তো? আরও অনেক কিছু হবে’ ইজরায়েলি সেনাকে সম্প্রতি কীসের ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতানিয়াহু? তবে এখন যাই তিনি করুন না কেন তাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের জীবন তো ফিরবে না এমন কথাও বলতে শোনা যাচ্ছে অনেককেই। মোদ্দা কথা হামাসের এক হাজারের বেশি যোদ্ধা কীভাবে ইসরায়েলে এত বড় হামলা চালাতে সক্ষম হলেন তা এখনো অস্পষ্ট। হামাসের হামলার মাত্রায়, ভয়াবহতায় ইসরায়েল হতভম্ব। ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ লিখেছেন হলোকাস্টের পর এক দিনে এত বেশিসংখ্যক ইহুদি আর কখনো প্রাণ হারাননি।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে খুব শীঘ্রই হয়ত নেতানইয়াহুর রাজনৈতিক পতনের সময় আসতে চলেছে। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রধান রাজনৈতিক ভাষ্যকার অমিত সেগালের মতে এ ঘটনার জেরে নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রিত্ব যদি টিকে যায় তাহলে তিনি অবাকই হবেন। আর তেমনটা হলে তা একটি নজির স্থাপন করবে। অমিত সেগাল সিএনএনকে বলেছেন ‘ইসরায়েলের ইতিহাস শিখিয়েছে যে প্রতিটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ও সংকট সরকারকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। তা সে ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গোল্ডা মেয়ার। ১৯৮২ সালে প্রথম লেবানন যুদ্ধের পর মেনাখেম বেগিন বা ২০০৬ সালের দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের পর এ হুদ ওলমার্টের সরকারের পতনের তার মতে এখন নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রেও ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করছে।’ যদিও ইসরায়েলের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এখন পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছে না ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন কাকে দায়ী করা হবে, তা নিয়ে এখন তাঁরা আলোচনা করছেন না কারণ এখন এই আলোচনার সময় নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে এনিয়ে কবর খোঁড়া হলে নেতানইয়াহু যাবেন কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম