।। প্রথম কলকাতা।।
Mamata Banerjee : রাজনীতির মাঠে দুজনে একেবারেই ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ। তাদের দল ভিন্ন , কাজ করার পদ্ধতি ভিন্ন। বাংলার রাজনীতিতে তাঁরা ছিলেন প্রতিপক্ষ। কিন্তু তারপরেও সৌজন্য বজায় রাখতে কোনরকম ত্রুটি রাখা হয়নি। আগেও সৌজন্য ছিল এবং আজও তা রয়েছে । সেটা ফের প্রমাণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ জানুয়ারি প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ( Jyoti Basu) শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee)।
এক সময় যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রাজনীতির মাঠে বৃহত্তর আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাংলার মসনদে বসলেন তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরে গিয়েছেন জ্যোতি বাবু। তবে তাঁর শেষ বয়সে মুখ্যমন্ত্রী বার কয়েক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন । বিধানসভায় প্রতিবছরই অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মতো জ্যোতিবাবুর জন্মদিনও পালন করা হয়। আর মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর নিজস্ব পেজ থেকে প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন জ্যোতি বাবুকে।
১৯১৪ সালে পরাধীন ভারতের ৬ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন জ্যোতি বসু । তিনি টানা ২৩ বছর অর্থাৎ ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ( Former CM) জ্যোতি বসু । এই দিনটিতে যখন তাঁর অনুগামীরা তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছেন সেই তালিকায় নাম জুড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে বাংলায় সরকার গঠনের মাধ্যমে মাথা উঁচু করে মহাকরণে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। তবে আগাগোড়াই তাকে সৌজন্য বজায় রাখতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীদলের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবর পেয়েও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এমনকি করোনাকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর শুনে তাঁর খোঁজখবর নিয়েছিলেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম