।। প্রথম কলকাতা ।।
Sunscreen: নামী দামি কোম্পানির সানস্ক্রিন মেখেও ঘেমে নেয়ে একাকার হচ্ছেন? সানস্ক্রিন মাখায় বেড়ে যাচ্ছে ব্রণর সমস্যা? দেখা দিচ্ছে এলার্জি? ঘাম মুছতে গিয়ে উঠে যাচ্ছে সানস্ক্রিন? তারপর রোদে মুখ পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে? তাহলে তো ভাবনারই কথা। রোদ থেকে বাঁচতে সারা বছর সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। এসব সমস্যা মেটাতে কিভাবে তা ব্যবহার করবেন তা জানা নেই অনেকেরই। গরম এলেই আমাদের হাজারটা ভয়, এই বুঝি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গেলাম। মনে হয়, এই বুঝি ত্বকে সানট্যান পড়ে গেল। রোদে ঘেমে র্যাশও বেরিয়ে যায় অনেকের। এই সব সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতেই আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু সেই সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলেই আবার দেখা দেয় নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। গরমে সানস্ক্রিনের রাসায়নিক থেকে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যায়, অ্যালার্জিও দেখা দেয়।
তাহলে কি করবেন?
ত্বকের ধরন যেমনই হোক, সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত নয়। দূষণ, ধুলোবালি এমনিতেই ত্বকের ক্ষতি করে। এর ওপর সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলে আরও ক্ষতি হয় ত্বকের। সানস্ক্রিনের ‘সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর’ বা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এই রশ্মি ত্বকের বার্ধক্য আর হাইপারপিগমেন্টেশনের কারণ হয়ে ওঠে। তাই ত্বকের সমস্ত খোলা জায়গায় যেমন মুখ, ঘাড়, কান, হাত এবং পায়ে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।
কিন্তু সবার ক্ষেত্রে বিষয়টা এক হয় না। অনেকেরই সানস্ক্রিন মাখা মাত্র ত্বক ঘামতে শুরু করে। এখন যে হারে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে, তাতে এমনিতেই ঘাম বেশি হয়। এর ওপর সানস্ক্রিন মাখলে আরও বেশি ঘাম হচ্ছে। সানস্ক্রিনের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করলেও খুব একটা সুফল মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন? সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় অবশ্যই এসপিএফ দেখে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন, বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালোভাবে ট্যান রোধ করা যায়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। সব সময় আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এসপিএফ বাছতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিন। ম্যাট থেকে শুরু করে জেল, স্প্রে, ভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। আপনার ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বাইরে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। এরপর ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ভাল থাকবে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর তীব্র ঘাম হলে সানস্ক্রিনে জল মিশিয়ে মাখুন। জলের সংমিশ্রণ সানস্ক্রিনের রাসায়নিকের ঘনত্বকে লঘু করে দেবে। জল ত্বকের রোমকূপকেও ঠান্ডা রাখবে। এতে ঘাম কম হবে। ঘাম হলে কখনও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তার বদলে তৈলাক্ত ত্বকের পুরুষ মহিলারা
ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকও ভাল থাকবে, ঘামও হবে না। আবার শুধু রোদে নয় অনেকক্ষণ সময় ধরে কম্পিউটারের কাজ করলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম