।। প্রথম কলকাতা।।
Measles: ইদানিংকালে তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। এমনিতেই করোনার (Corona) পর থেকে হালকা গা গরম বা কাশি শুরু হলে, ভয় ঢুকে যায় মানুষের মনে। কিংবা ৩ দিন জ্বর থাকলেই বুকের ভেতরটা ঢিপ ঢিপ করে ওঠে। আগে জ্বর হলে, সেভাবে পাত্তা দেয়নি মানুষ। কিন্তু যবে থেকে করোনা নামক মহামারী জীবনে এসেছে, তবে থেকে জ্বর দু’দিনের বেশি গায়ে থাকলেই চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নেন সবাই। কিন্তু এই সময় জ্বর আসতে পারে অন্য কারণেও। এখন বসন্ত অর্থাৎ পক্স, হাম (Measles) এইসময় খুব দেখা দেয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় এই রোগগুলি দেখা দিয়ে থাকে। শীতের শেষ আর গরমের শুরুতেই বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে এই রোগের ভাইরাস।
কিন্তু কী দেখলে বোঝা যাবে যে হাম হয়েছে?
প্রথমে জ্বর, সর্দি, হাঁচি, ঠান্ডা লাগা সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করবেন। চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকবে, গলার স্বর বসে যাবে। কিছুদিন যেতে না যেতেই সারা শরীরে বিভিন্ন আকারের দানা দানা দেখা দেবে। তারপর সেগুলি ৩-৪ দিন থাকবে এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
এই ধরনের রোগ থেকে সাবধান থাকবেন কীভাবে?
এই ভাইরাসজনিত (Virus Related Disease) রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় টিকাকরণের দরুন। সেইসঙ্গে রোগের লক্ষণ নজরে এলে বাড়ির অন্য সকল লোকেদের সাবধান থাকা দরকার এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই রোগের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাময়িক কমে যায়। তাই সচেতন না থাকলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। মূলত হাম কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুযায়ী।
চিকিৎসকরা কী বলে থাকেন?
এই ধরনের ভাইরাস জনিত রোগের ক্ষেত্রে টিকাকরণই (Vaccination) গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকদের মতে। তাছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। একইসঙ্গে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখলে সেটা ভালো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। মূলত শিশু ও অল্প বয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়, এ ধরনের রোগের শিকার তাঁরাই বেশি হয়। শিশুদের হাম বেশি হয়ে থাকে। এই রোগ একবার হলে দ্বিতীয়বার হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকে। কিন্তু সতর্ক থাকা ভালো। হাম হলে জ্বর হবেই। আর যদি জ্বর বেশি হয়, তাহলে বমিও হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে জল পান করা জরুরী। যদি শিশুদের বয়স ২ বছরের কম হয়, তাহলে মায়ের দুধ ঘনঘন দিতে হবে। না হলে শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। আর সবথেকে বড় কথা, কোনোরকমভাবে নিজেরা চিকিৎসা করতে যাবেন না। তাহলে বিপদ ঘটতে পারে। শিশুদের হাম মারাত্মক না হলেও, চিকিৎসা সময়মতো করানো জরুরী। না হলে ঘটতে পারে বিপদ। তাই এই সময় শিশুদের অতিরিক্ত কেয়ারের প্রয়োজন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম