।। প্রথম কলকাতা ।।
Samaresh Majumdar Demise: কিসের লোভে লেখালেখির কাজ ধরেছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। একপ্রকার জোর করে তিনি লিখেছিলেন উত্তরাধিকার-কালবেলা। কারণ জানলে অবাক হবেন। জানেন কে ছিলেন এই সাহিত্যিক সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী? তাঁর প্রেমের উক্তিতেই প্রথম কলকাতা স্মরণ করবে তাঁকে। মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায়৷ বিখ্যাত উক্তি তাঁরই৷ আর সেই কালপুরুষই ফিরে গেলেন মহাকাশে৷ স্ত্রী ধীরা মজুমদারকে হারানোর দেড় বছরের মাথায় ধরাধামকে বিদায় জানালেন সাহিত্যিক।
শুধু এপার বাংলাই নয়৷ দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদারের শুরুটা ধারাবাহিক ব্যর্থতা দিয়ে। নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন তাঁর বিখ্যাত প্রথম দুই উপন্যাস উত্তরাধিকার-কালবেলা জোর করেই লিখেছিলেন তিনি। মন থেকে লেখেননি। বলা যেতে পারে, বাধ্য হয়েই লিখেছেন। উত্তরাধিকার প্রকাশের পর পাঠকদের আগ্রহের কথা ভেবে প্রকাশক সাগরময় ঘোষের নির্দেশে বাকি দুই পর্ব লেখা হয়। যার লেখা পড়ে বাঙালি চলে যায় এক অন্য জগতে। সেই সমরেশ মজুমদারে কেন লেখালেখি শুরু করেছিলেন জানেন? তিনি জানিয়েছিলেন কলকাতার বিখ্যাত দেশ পত্রিকায় প্রথমবার পাঠানো তাঁর লেখা ছাপা হবে বলে আশ্বাস দিয়েও ছাপা হয়নি। এরপর পাবলিক ফোন থেকে দেশ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক বিমল করকে কল করে গালিগালাজ করেছিলেন তিনি। অমনি কাজ, ১৫ টাকা সম্মানী পেয়ে সেই টাকায় বন্ধুদের খাইয়েছিলেন। সেই খাওয়ার লোভে বন্ধুরা তাঁকে আবারও লিখতে বলেন। সেই কফি খাওয়া ও খাওয়ানোর লোভ থেকেই সাহিত্যিক হিসেবে পদার্পণ করেন সমরেশ মজুমদার।
পৃথিবীর অর্ধেক কাজ যুক্তি দিয়ে হয় না। এমন উক্তির বাদশা সমরেশবাবু। প্রথমবার নাটক লিখতে গিয়ে আজব কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। সমরেশ মজুমদারেরা গ্রুপ থিয়েটার করতেন কলকাতায়। বন্ধুরা অনুরোধ করেন নাটক লেখার জন্য। সমরেশ মজুমদার লিখলেন নাটক। পরদিন সেই নাটক শুনে সকলে হাঁ। সবাই বললেন, পড়ে খুব ভালো লাগছে, কিন্তু গল্প হয়েছে নাটক হবে না। আত্মজীবনী লেখা নিয়ে মজার কথা বলেছিলেন তিনি। আত্মজীবনী লিখলে ঘরে এবং বাইরে শত্রু তৈরি হবে। দুপারেরই অত্যন্ত প্রিয় সাহিত্যিক প্রয়ানের খবরে আজ বড্ড মন ভারাক্রান্ত বাংলার, বাঙালির৷ আর যে কেউ লিখবে না। ছাইটা হল স্মৃতি, আগুনটা হল বর্তমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম