Female soldiers in Israeli army: সুন্দরী লাস্যময়ী অথচ উগ্র, ইসরায়েলের নারী সেনাদের কর্মকাণ্ডে অবাক হবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Female soldiers in Israeli army: রহস্যে মোড়া ইসরায়েল। দেশটির টেকনোলজিতে মাত গোটা বিশ্ব ! ইসরায়েলের নারী সেনারা যুদ্ধ করতে পারেন না, কিন্তু কেন? এরা সবথেকে সুন্দরী লাস্যময়ী কিন্তু ভয়ঙ্কর উগ্র। টাকা ইনকামে জন্য ব্যবহার করে শারীরিক সৌন্দর্য। আজব নিয়মে মোড়া ইসরায়েল। যতই জানবেন ততই হতবাক হবেন।

সারা পৃথিবীর কাছে ইসরায়েল রহস্যে মোড়া। পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র সম্পর্কে এমন কিছু ভয়ঙ্কর এবং অজানা তথ্য রয়েছে যা আজো মানুষকে অবাক করে। দেশটি পর্যটন শিল্পে খুব একটা বিখ্যাত নয়। নিজস্ব সম্পদের পরিমাণও কম। সেই ১৯৭০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুদান নিয়ে দেশটি উন্নত হতে শুরু করে। তবে ১৯৯৮ সালের পর অনুদানের পরিমাণ কমে গেলে ইসরায়েল নিজেদের মতো করে খুঁজে নিয়েছে উন্নতির সিঁড়ি। আজ ইসরায়েল কারোর ধার ধারে না। দেশটির নাম শুনলে বিশ্বের বহু দেশ ভয়ে কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে ভয় পায় তাবড় তাবড় দেশ। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের এক সময়ে পিছিয়ে পড়া ছোট রাষ্ট্র বর্তমানে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলে রয়েছে ডেড সি অর্থাৎ মৃত সাগর । আপনি যদি সাঁতার না জানেন তাহলেও চিন্তা নেই। নির্দ্বিধায় এই সাগরে ঝাঁপ দিতে পারেন। ভয় নেই, ডুববেন না। জলের উপর ভেসে থাকবেন। এছাড়াও এই জলে রয়েছে জাদুকরী গুণ যা ত্বকের জন্য মারাত্মক উপকারী। এমনকি এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা শরীর এবং মুখে সমুদ্রের মাটি মাখেন।

ইজরায়েলের আজব নিয়ম

জানেন বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ হয় ইসরায়েলে। এখানে এমন কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই টিপস দিতে হবে। আবার এমন কিছু রাস্তা আছে যেখানে ড্রাইভিং করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দেশটিতে কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ করেন তাহলে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বিশেষ রীতি রয়েছে। অপরাধীকে প্রায় ২৫ ঘন্টা উপবাস থেকে অনুশোচনা প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে অপরাধীর প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। বছরের নির্দিষ্ট দুটি দিনে ইসরায়েলের সব কিছু এক মিনিটের জন্য স্থির হয়ে যায়। তখন সবাই দাঁড়িয়ে একত্রে নীরবতা পালন করেন। বলা হয়, প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারের সূর্যাস্ত থেকে শনিবারে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জেরুজালেমে গাড়ি চালানো নিষেধ। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে স্থানীয়রাই সেই গাড়িকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বে। কিন্তু সেই ঘটনার জন্য তারা শাস্তি পাবে না।

ঝুড়ি ঝুড়ি ভালো গুণের পাশাপাশি ইসরায়েল সম্পর্কে কিছু খারাপ কথাও শোনা যায়। দেশটিতে মাসে প্রায় এক মিলিয়ন পুরুষ পতিতালয় গমন করেন। দেশটির বহু জায়গায় সমকামিতা বৈধ। ইসরায়েলি নারী সেনাদের বলা হয় উগ্র প্রকৃতির সুন্দরী। তারা যেমন সুন্দর তেমনই ভয়ানক। প্রয়োজনে শারীরিক সৌন্দর্যকে বিনোদনের কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করে। এই নারী সেনারা বিশ্বের সবচাইতে সুন্দর লাস্যময়ী এবং উগ্রপ্রকৃতির। তারা টাকার বিনিময়ে অনেক কিছুই করতে পারে। এমনকি টাকার জন্য তারা পতিতালয়েও যেতে রাজি হয়ে যায়।

নারীদের যুদ্ধ করতে না দেওয়ার কারণটা কী?

ইসরায়েল এমন একটি দেশ যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনো মানুষকে সেনা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ছেলেদের নিতে হয় ৩ বছরের প্রশিক্ষণ এবং মেয়েদের ২ বছরের প্রশিক্ষণ। নারীদের সেনা প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক অথচ নারী সেনাদের যুদ্ধের মাঠে পাঠায় না । ব্যাপারটা কেন একটু গোলমেলে।
যে কাজের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ অথচ সেই কাজেই নারীদের কাজে লাগানো হয় না। ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রথমদিকে নারীদের যুদ্ধের মাঠে যাওয়ার অনুমতি দিলেও পরবর্তীকালে নানান কারণে নারীদের আর যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠায় না দেশটি। একটা সময় ছিল যখন ইসরায়েলের নারীরা সেনাবাহিনীতে ক্যাডার থেকে শুরু করে গোয়েন্দা নজরদারি চালানো, সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রপরিচালনার প্রশিক্ষক হওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থার কাজ সহ সামরিক বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিতে পারতে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিয়মে পরিবর্তন হয়। ইসরায়েলের ভেতর থেকেই উঠে আসে নানান অভিযোগ। ইসরায়েলের নারীবাদীরা বারংবার মামলা ঠুকেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স অর্থাৎ আইডিএফের বিরুদ্ধে। তাদের যুক্তি তারা শুধু অধিকারের জন্য নয় তাদেরকে দায়বদ্ধতার খাতিরে লড়াই করতে হয়। তখন নারীদের বিমান চালক এবং ট্যাঙ্ক ক্রু হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তৈরি করা হয় বিশেষ পদাতিক ইউনিট কারাকাল এবং লায়ন্স অব দা জর্ডান ভ্যালি। এই ইউনিট গুলিতে সৈন্যদের মধ্যে পুরুষ ছিল এক তৃতীয়াংশ এবং বাকি সবাই নারী। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কারাকল ইউনিটের সৈন্যরা নিজেদের কাছে খুব একটা বেশি অস্ত্র রাখতে পারে না । মনে করা হয়, বহু ইসরায়েলি নারীদের নিম্নমানের প্রশিক্ষণ রয়েছে। এছাড়াও নারী পুরুষ একসঙ্গে থাকলে কোন ধরনের শৃঙ্খলা মানা হয় না। তরুণ তরুণীরা অবাধে মেলামেশা করতে শুরু করে। ১৮ থেকে ২০ বছরের তরুণরা দলে দলে যোগ দেয় সেনাবাহিনীতে। নারীরা সেনাবাহিনীতে নিয়মিত কাজ করুক কিংবা সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক এমনটা চায় না আইডিএফ । এমনকি যুদ্ধ ইউনিটে নারীদের ভর্তি এবং সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের ক্ষেত্রে তীব্র বিরোধিতা করেছে। আইডিএফ মনে করে, যদি কোন নারীকে ট্যাঙ্কার হিসেবে কিংবা পদাতিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় তাহলে তিনি শারীরিক গঠনের কারণে একজন পুরুষ সৈনিকের তুলনায় কম কাজ করবেন। তারা কম পরিমানে গোলাবারুদ বহন করবেন, উপরন্তু বেশি চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপর যুক্তি অনুযায়ী, পুরুষের তুলনায় নারীদের সামরিক তত্ত্ব জ্ঞান কম। নারীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারে ট্যাঙ্ক থেকে কিভাবে গুলি করা হবে, কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে ইউনিট গুলির মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নাও থাকতে পারে। তখন সবশুদ্ধ বিপদে পড়বে গোটা দেশ। যুদ্ধের ময়দান এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষ পাগলের মত লড়াই করে। তাই ইসরায়েলি নারীরা যুদ্ধ করতে পারেন না।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version