।। প্রথম কলকাতা ।।
Apple Farming: বাড়ির ছোট্ট ব্যালকনিতে কিংবা ছাদ বাগানের টবে যদি লাল বা সবুজ আপেল ফলে ব্যাপারটা মন্দ হবে না। এমন আপেল চাষ করার স্বপ্ন কম বেশি অনেকেরই আছে। আপেল(Apple) বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শীত প্রধান অঞ্চলের কথা। সেখানে একটু ব্যতিক্রমী আবহাওয়ায় আপেল চাষ শ্রমসাধ্য। কিন্তু অসম্ভব নয়। পরিশ্রম আর ধৈর্যের মাধ্যমে আপনার ছাদ বাগানে চাষ করতে পারেন লাল টুকটুকে আপেল। এমনকি চারা পর্যন্ত আপনি ইচ্ছা করলে বাড়িতেই বানাতে পারেন। অনেক সময় বাজার থেকে কিনে আনা আপেলের চারা ভালো হয় না। যদি ভালো জাতের চারা হয় সেক্ষেত্রে ফলন ভালো হয়। খেয়াল রাখবেন, সমস্ত প্রজাতির আপেল গরম আবহাওয়াতে হয় না, তবে কিছু কিছু প্রজাতির আপেল রয়েছে যা এই আবহাওয়াতে চাষ করা যায়।
আপেল চাষে প্রথমে বেছে নেবেন ২০ ইঞ্চির একটি বড় টব। আপেল চাষের জন্য মাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে বালি, মাটি, নিমখোল, জৈব সার আর কোকোপিট ভালোভাবে মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করবেন। তবে এমন ভাবে মাটি রাখবেন যাতে জল নিকাশের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকে। কারণ গাছের গোড়ায় জল জমে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি সরাসরি বাজার থেকে চারা কিনে এনে টবে পুঁততে পারেন কিংবা নিজেই বাড়িতে আপেলের চারা তৈরি করতে পারেন, তাও আবার খুব সহজ উপায়ে।
চারা তৈরির পদ্ধতি
- বাজারে বিভিন্ন জাতের আপেল পাওয়া যায়। আপনি যে আপেলটি পছন্দ করেন সেই আপেল নিয়ে আসবেন। আর খেয়াল রাখবেন ফলটি যেন তাজা এবং ভালো হয়। কারণ বীজ ভালো হলে গাছও ভালো হবে।
- প্রথমে আপেলটি এমন ভাবে কেটে নেবেন যাতে বীজের কোন ক্ষতি না হয়। বীজ থেকে চারা বানানোর জন্য প্রথমে প্রয়োজন পড়বে একটি সুতি কাপড়। আপনি চাইলে টিস্যু পেপারও ব্যবহার করতে পারেন। সুতি কাপড়ের মধ্যে বীজগুলি রেখে দিয়ে হালকা ভাবে জলের স্প্রে করবেন। খেয়াল রাখবেন যেন জলের পরিমাণ অতিরিক্ত না হয়। কারণ বীজে ফাঙ্গাস পড়তে পারে।
- তারপর অতি যত্ন সহকারে কাপড়টি ভাঁজ করে একটি পাত্রে তিন থেকে চার দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। ওই পাত্রটি কাঁচের কিংবা প্লাস্টিকের হতে পারে। কিন্তু এমন পাত্র নেবেন যে পাত্রে বাইরে থেকে বাতাস ভিতরে প্রবেশ করবে না। পাত্রটিতে এই ভাবে বীজ রাখার তিন থেকে চারদিন পরে দেখবেন অঙ্কুর বেরিয়েছে। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর তা মাটিতে পুঁতলে চারা গাছ ভালো হয়। সরাসরি বীজ মাটিতে পুঁতলে সে ক্ষেত্রে চারা ভালো নাও হতে পারে।
- অঙ্কুরিত ওই বীজগুলি পুঁততে হবে কোকোপিটে। কারণ নারকেলের খোসার গুঁড়োর সাথে জল স্প্রে করে বীজ রোপন করলে গাছ ভালো হয়। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে দেখবেন চারা গাছ বেরিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ভালো মানের আপেল কিনতে হবে। বীজ ভালো হলে প্রত্যেক বীজ থেকেই চারাগার জন্মায়। চারা গাছ একটু বড় হলে তা আপনি মাটিতে রোপন করতে পারেন।
আপেল গাছে নিয়মিত পেস্টিসাইড স্প্রে করবেন, যাতে ছত্রাক জনিত কোন রোগ গাছকে আক্রমণ না করে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে আপেল গাছে ফুল আসে। তখন বিশেষভাবে গাছের যত্ন নিতে হয়। দু’মাস অন্তর আপেল গাছে মিশ্র জৈব সার ব্যবহার করবেন। এই জৈব সার নিজেই তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ খোলের গুঁড়ো নেবেন, তার সঙ্গে ২৫ শতাংশ হাড় গুঁড়ো, ২৫ শতাংশ গোবর সার আর ২৫ শতাংশ সিম কুচি একত্রে মিশিয়ে নেবেন। মাঝে মধ্যে লাল মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। তখন আপেল গাছের পাতা বিবর্ণ হয় এবং কিছুদিন পর শুকিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি দোকান থেকে মাকড়নাশক কীটনাশক কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম