।। প্রথম কলকাতা ।।
Hair Cut: চুলের যত্নের জন্য মানুষ কী না করেন। পার্লার থেকে শুরু করে দামি দামি সব প্রসাধনী ব্যবহার সবকিছুই চলছে। কিন্তু তারপরও মাঝেমধ্যেই যেন মনে হয় আপনার চুল আপনার মনের কথা বুঝতে পারছে না। ক্রমশ নিষ্প্রাণ, নিস্তেজ, জেল্লাহীন হয়ে যাচ্ছে। এমন চুল মাথায় করে বয়ে বেড়াতেও মন চায় না। কিন্তু আগের তুলনায় চুল খানিকটা লম্বা হয়েছে দেখে কাটতেও ইচ্ছে করছে না। নিজের মনেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি এখন চুল কেটে (Hair Cut) ফেলার জন্য সঠিক সময় ?
আপনার চুলে যদি এই পাঁচ ধরনের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে নিশ্চিন্তে চুলের অল্প অংশ ছেঁটে নিতে পারেন এতে বরং ভালোই হবে। বজায় থাকবে আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য। আরও একটি মজাদার বিষয় হল আমাদের চুল নিজেই জানিয়ে দেয় কখন আমাদের হেয়ারকাট এর প্রয়োজন রয়েছে। শুধু একটু বুঝে নিতে হবে এই যা।
লক্ষণ গুলি হল-
- চুল আঁচড়ানো সময় কিংবা শ্যাম্পু (Shampoo) করার সময় গোছা গোছা চুল উঠে হাতে চলে আসছে। সামান্য চুলের মধ্যে হাত চালালেই ঘরের মেঝেতে ঝড়ে পড়ছে চুল। ঘুম থেকে ওঠার পর বালিশে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে আপনার চুল। ব্যাপারটা খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। সেই সময় অল্প করে ছেঁটে নিন আপনার চুলের ডগা। আসলে চুল দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে গেলে এমন ঘটতে থাকে। তাই আগেভাগে সতর্ক হওয়া উচিত।
- চুলের ডগা যখন ফেটে যায় (Split Ends) তখন অল্প করে চুল ছেঁটে নিলে সমস্যা সেই সময়ের মত মিটে যেতে পারে। অনেক সময় চুলে আর্দ্রতার অভাব দেখা দিলে এইভাবে চুলের ডগা ফেটে যায়। পাশাপাশি আপনার শেষ হেয়ার কাটের সময় যে শেপ ছিল সেই সেটটাও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তা দেখতে বেশ খানিকটা খারাপ লাগে। এক্ষেত্রে চুল কেটে নেওয়া যায় ভালো বিকল্প বলে মনে করা হয়।
- চুল যত লম্বা হয় তত বেশি চুলের প্রতি মায়া বেড়ে যায় মেয়েদের। অনেকেই লম্বা চুল পছন্দ করেন কিন্তু তাদের চুল কিছুটা লম্বা হওয়ার পর নিচ থেকে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে । সেই সময় চুল কেটে ফেলতে হয়। নইলে সম্পূর্ণ চুলটাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- খুব বেশি চুল পড়তে থাকলে চুলের ভলিউম কমে যায়। সেই সময় বেশ খানিকটা চুল কেটে ফেললে ভলিউম ফিরে পাওয়া যায়।
- যারা প্রতিনিয়ত হেয়ার কালার ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় চুলের নিচের অংশ একেবারেই রুক্ষ শুষ্ক দেখায়। সেই সময় একবার হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়ে অল্প চুল ছেঁটে ফেলা ভালো । এতে যেমন একটা নতুন লুক পাওয়া যায় ঠিক তেমনই জেল্লা হারিয়ে ফেলা চুল আবার প্রাণ ফিরে পায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধুমাত্র চুল লম্বা হয়ে গেলেই যে কাটার প্রয়োজন হয় এমনটা কিন্তু নয় । চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর অল্প একটু করে হলেও চুল কেটে ফেলা দরকার । যদিও প্রত্যেকের চুলের ধরন এক রকম হয় না । তাই সকলের জন্য নিয়মও এক নয় । কিন্তু তাও সামান্য একটু চুল তিন মাস অন্তর কেটে ফেললে ভালোর বদলে খারাপ তেমন কিছু হয় না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম