।। প্রথম কলকাতা ।।
Bengali serial: সমাজের কটাক্ষের মুখে পড়ে মনে হতো এবার মরেই যাব। গোবরডাঙ্গার সাধারণ মেয়ে রাতারাতি বাংলা টেলিভিশনের সুপারস্টার। মাত্র কয়েক দিনে বদলে গিয়েছিল তিয়াসার জীবন। পরপর সব হিট ধারাবাহিক। অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর যথেষ্ট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। অভিযোগ উঠেছিল জনপ্রিয় হওয়ার পর স্বামীকে ছেড়ে দিলেন। এতদিন চুপ থাকলেও এবার উত্তরটা দিয়ে ফেললেন কেন তাঁদের ডিভোর্স হয়েছিল ।
মাঝখানে শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি সোহেলের সঙ্গে প্রেম করছেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। জি বাংলার কৃষ্ণকলির সুবাদে ক্যারিয়ারের শুরুতেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিয়াসা। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তাঁর প্রাক্তন স্বামী বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। অভিনয়ের সবকিছু সুবান এর কাছে শেখা। তবে সাফল্য পেয়েই বদলে গেলেন তিয়াসা। এই ধরনের হেডলাইন আমরা তখন দেখেছি। সুবানের সঙ্গে সম্পর্কের পার্ট চুকিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কেন? এ বিষয়ে কোনদিনই মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। আপনাদের কি মনে হয় অভিনেত্রী যেটা করেছিলেন ঠিক করেছিলেন?
বরের হাত ধরে উঠে এসে তাঁকে ছেড়ে দিলেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনরা। তুলেছিলেন বললে ভুল হয়, আজও তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ডিভোর্স দিয়ে কাঠগড়ায় তিয়াসা। এক প্লাটফর্মে এসে তিয়াসা জানান আমার বলতে দ্বিধা নেই আমি আমার স্বামীর হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। একশন লাইট ক্যামেরা সব তাঁর কাছ থেকেই শিখেছে। এইগুলো তাঁর কাজেও লেগেছিল। সুবানকে ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী। তিনি জানান তিনি ধরার ছাড়ার কেউ নন। বিচ্ছেদ যখন হয় তখন দুজনের সম্মতি নিয়ে হয়।
তিয়াসার মনে করেন আমরা যতই সিক্স জি, ফোর জি ব্যবহার করি আমাদের অনেকেরই মানসিকতা কিন্তু সেই টুজিতে পড়ে রয়েছে। তিয়াসার কথায় সবাই মেয়েটার বিচার করে। কেন মেয়েদের দোষারোপ করা হয়? প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন সবাইকে সবটা জানেন। একটা সময় অভিনেত্রী খুব কষ্টে দিন কাটাতেন কাঁদতেন। তারপর নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছেন কেন কাঁদবেন যারা বলছেন তারা তাকে খেতে দেবেন না তার পাশেও থাকবেন না। তবে শোনা যায় প্রথম দিকে সবটা তাদের মধ্যে ঠিক থাকলেও যতদিন যায় ততই তিক্ত হতে থাকে সুবান ও তিয়াসার সম্পর্ক। সন্দেহ অবিশ্বাস সর্বোপরি ইগো এসে ঘিরে ফেলে তাঁদের। আর তাই হয়তো তাদের সুখের সংসার ভেঙে যেতে সময় লাগেনি।
তবে অন্য দৃষ্টান্তও আছে। সময় আবার মিলিয়ে দিয়েছে রাহুল প্রিয়াংকাকে। দূরত্ব মিটিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যাচ্ছে তাঁর স্বামী প্রবাল বসুকে। তেমনই হয়তো সময় মিটিয়ে দেবে সুবান তিয়াসার মান অভিমান। মনের টান থাকলে হয়তো আবার কাছাকাছি আসবেন তাঁরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম