।। প্রথম কলকাতা ।।
Adenium: শীতের বিদায় বেলায় গাছপ্রেমী অনেকেই ভাবতে বসে গেছেন, নিজেদের ছোট্ট ব্যলকনি বা ছাদ বাগানে কিভাবে সঠিক পরিচর্যায় সুন্দর ফুলের গাছ বানাবেন। এক্ষেত্রে যদি জায়গার পরিমাণ কম থাকে তাহলেও চিন্তা নেই। ছোট্ট টবেই আপনি ফোটাতে পারেন অ্যাডেনিয়াম অর্থাৎ মরুগোলাপ(Adenium)। এটি চোখে যেমন আরাম দেয় তেমনই মন ভালো রাখে। সৌন্দর্যও নজরকাড়া। নিজের স্বপ্নের ছাদ বাগানকে বা ব্যালকনিকে সুন্দরভাবে সাজাতে কয়েকটি মরুগোলাপ রেখে দিতে পারেন। মরুগোলাপ ভীষণ রোদ প্রিয়। টানা রোদ সহ্য করতে পারে। নিয়ম করে প্রতিদিন গাছের গোড়ায় জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাজারে গেলে বিভিন্ন রঙের সৌন্দর্যময় মরুগোলাপ গাছ পেয়ে যাবেন। আপনি অনায়াসের ছোট্ট টবে যেখানে দিনে অন্তত আট ঘণ্টা সরাসরি রোদ পড়ে সেখানে রাখবেন। দেখবেন যত ভাল রোদ পাবে ততই রঙিন ফুলে ভরে উঠবে আপনার বাগান।
মরুগোলাপের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে জৈব সারের প্রয়োজন নেই। বেশি ফুল পেতে শুধুমাত্র বসন্ত ঋতুতে প্রয়োজন একটু ফসফরাস সার। খেয়াল রাখবেন টবটি যেন খুব ছোট না হয়। মাঝারি সাইজের টব নেবেন। মরুগোলাপের ক্ষেত্রে জলের প্রয়োজন খুব কম। তাই খেয়াল রাখবেন গাছের গোড়ায় যেন একদমই জল না জমে। আরো ভালো হয় যদি জল দেওয়ার সময় টবের মাটিতে হাত দিয়ে দেখে নেন। মাটি আদ্র থাকলে জল দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। গ্রীষ্মের সময় তাপমাত্রা অনুযায়ী জল দেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
মরু গোলাপ সাধারণত মরুভূমির গাছ। তাই এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো। সবথেকে ভালো হয় যদি ৩০ থেকে ৩৮ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মরুগোলাপ গাছ রাখা হয়। মরুগোলাপের টব গুলি অল্প রোদ পায় বা ছায়া স্থান থেকে দূরে রাখবেন।
গাছের পরিচর্যা
•গাছের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে সৌন্দর্য। তাই প্রথম থেকেই পরিকল্পনা করে নেবেন কোন আকৃতিতে গাছটি বানাতে চান। সেই অনুযায়ী শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি পেলে ধারালো ব্লেড দিয়ে ডাল ছেঁটে দিতে পারেন।
•কেটে ফেলা ডালটি অন্য স্থানে বসিয়ো সেখান থেকে তৈরি করতে পারেন নতুন মরুগোলাপের চারা।
•মরু গোলাপের ক্ষেত্রে প্রুনিং অত্যন্ত জরুরি। যথাযথ ভাবে প্রুনিং করলে গাছে বেশি ফুল আসে এবং গুঁড়ি শক্তপোক্ত হয়।
অত্যন্ত কম পরিশ্রমে মরু গোলাপ চাষ করতে পারবেন , কারণ এই গাছ প্রচুর কষ্টসহিষ্ণু। অনেকদিন জল ছাড়াই বাঁচতে পারে। নিয়ম করে গাছে জল দেওয়ার ঝুট-ঝামেলা একেবারে পোহাতে হয় না। এই ফুল অনেকের কাছে আবার অ্যাডেনিয়াম নামেও পরিচিত। এই গাছের স্ফীত কাণ্ডে মজুত থাকে ভবিষ্যতের জল ও খাদ্য। এই ফুলগাছটির আদি বাসস্থান হলো সাহারা, সুদান, সেনেগাল প্রভৃতি স্থান।