।। প্রথম কলকাতা ।।
Crude oil: জি-৭ গোষ্ঠী ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৬০ ডলার বেঁধে দিয়েছে। সোমবার অর্থাৎ আজ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলে ওপর পশ্চিমী দুনিয়ার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর ফলস্বরূপ রাশিয়ায় উৎপাদিত তেলের একটা বড় অংশ আন্তর্জাতিক বাজারের না আসা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কোনভাবেই জি-৭ এর বেঁধে দেওয়া দর মানবে না তাঁরা। বরং তাদের হুঁশিয়ারি, যে সমস্ত দেশ তেলে দাম বেঁধে দেবে তাদেরকে তেল সরবরাহ করাই বন্ধ করে দেবে মস্কো। এতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও চড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত দুদিন আগে রুশ তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলার বেঁধে দিয়েছে জি-৭ গোষ্ঠী। উদ্দেশ্য, যাতে রাশিয়া তেল বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ না করতে পারে এবং সেই লাভের অর্থ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যেন না চালাতে পারে। শনিবার রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাঁরা এই দর কিছুতেই মানবে না। আর রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, বেশ কিছু দেশে তেল সরবরাহ করাও বন্ধ করে দিতে পারে রাশিয়া। রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, বাজার শর্ত মেনে যারা রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে শুধুমাত্র সেই দেশগুলিকেই তেল এবং পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বিক্রি করবে রাশিয়া । সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে উৎপাদন সামান্য কমাতেও রাজি ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলি।
এই হুঁশিয়ারি যদি সত্যি হয় অর্থাৎ রাশিয়া সত্যিই যদি তেলের রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তাহলে বিভিন্ন দেশে অশোধিত তেলের দাম মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। মূল্যবৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে একথা রাশিয়ারও অজানা নয় , এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে বর্তমানে তেলের দাম অনেকটাই নেমে গিয়েছে। এই তেলের দাম যখন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছিল তখন দর বাঁধলে রাশিয়ার অর্থনীতিতে অবশ্যই প্রভাব পড়ত। কিন্তু এখন ততটা প্রভাব পড়া সম্ভব নয়। আগামীতে পরিস্থিতি কোন পথে চালিত হয় সেদিকেই রয়েছে সকলের কৌতুহলী দৃষ্টি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম