।। প্রথম কলকাতা ।।
TATA Motors: ১৫ বছর পার। সিঙ্গুর বিবাদে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সিঙুরের ক্ষতিপূরণ! আদালতের রায়ে টাটাদের প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। সঙ্গে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদও। এই সিদ্ধান্ত কি মেনে নেবে রাজ্য? নাকি এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাবে রাজ্য? ন্যানো মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জেরে, টাটা মোটরস সংস্থাকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে।
এদিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি নোট দিয়ে টাটা সংস্থা জানিয়েছে, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে ট্রাইবুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা দিতে বলেছে। সেইসঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ সুদ দিতে বলা হয়েছে।” ট্রাইব্যুনালের বর্তমান রায় অনুযায়ী, সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানা না হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে ১১ শতাংশ সুদ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ টাটাকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম৷ সিঙ্গুরে টাটার কারখানা তুলে নেওয়ার প্রেক্ষিতেই এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এর পাশাপাশি, মামলার খরচ বাবদ টাটা-কে দিতে হবে আরও ১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল এই আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল।
মোটরগাড়ি তৈরির কারখানার জন্য ২০০৬ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার অধিগ্রহণ করেছিল প্রায় হাজার একর চাষের জমি। বহুফসলি জমি কারখানা তৈরির জন্য তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনে নামে রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। আন্দোলনের জেরে কারখানা তৈরি হয়নি। ফিরে গেছে টাটা গোষ্ঠী। তারপর ঘটে গেছে নানান ঘটনা। ২০১১ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আন্দোলনের ফলস্বরূপ ২০১৬ সালে ৩১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে টাটার কারখানার কাঠামো ভেঙে চাষিদের জমি ফিরিয়ে দেয় সরকার। তবে সেই জমি আজও চাষযোগ্য হয়নি। অধিকাংশ জমি পড়ে রয়েছে পতিত অবস্থায়। কিছু জায়গায় ভেড়ি বানিয়ে মৎসচাষের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।
সেই মামলা শেষ হয়নি। চলছিল বহু বছর ধরে। অবশেষে ৩০ শে অক্টবর সেই ঐতিহাসিক রায়। ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকেরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার হাইকোর্ট না সুপ্রিম কোর্ট কোন আদালতে আবেদন জানাবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম